আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন যুবদল সদস্য সচিব আরিফ গাজী তার সহযোগী ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি জুয়েল মল্লিক ও জামাল গাজীর শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এ মানববন্ধন ও মিছিলে দুই শতাধিক নারী ও পুরুষ অংশ নেয়।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া মৌজার ১৩ ও ১৫ খতিয়ানের সাড়ে ৫ একর জমি মন্নাফ হাওলাদার, নয়ন হাওলাদার ও তাদের ওয়ারিশগণ শতাধিক বছর ধরে ভোগদখল করে আসছেন। ওই জমিতে তারা গত ২৫ দিন আগে আমন ধানের চারা রোপন করেছেন। গত বুধবার বিকেলে হলদিয়া ইউনিয়ন যুবদল সদস্য সচিব আরিফ গাজী, ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জুয়েল মল্লিক ও জামাল গাজীর নেতৃত্বে শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলাকায় তান্ডব চালিয়ে ট্রাক্টর মেশিন দিয়ে আমন ধানের রোপনকৃত জমি চাষাবাদ করেছেন। তাদের তান্ডবে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এমন অভিযোগ নয়ন হাওলাদার. মন্নাফ হাওলাদার, জহিরুল ইসলাম ও হারুন হাওলাদারের। এতে তাদের অন্তত পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ভুক্তভোগীদের আরো অভিযোগ যুবদল নেতা ও তার সহযোগীরা তাদের প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে, তাদের ভয়ে তারা আইনী ব্যবস্থা নিতে সাহস পায়নি। আরিফ গাজী ও তাদের সহযোগীদের এমন কর্মকান্ডের শাস্তির দাবীতে রবিবার দুপুরে দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। সমাজসেবক মোশাররফ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে নারীসহ দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেয়। এতে বক্তব্য রাখেন নয়ন হাওলাদার, জহিরুল ইসলাম, মন্নাফ হাওলাদার, আলমগীর হাওলাদার, হারুন, সোনিয়া, কদভানু বিবি, সুমনা আক্তার ও নুরুননাহার বেগম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, হলদিয়া ইউনিয়ন যুবদল সদস্য সচিব আরিফ গাজী গত বছর ৫ আগষ্টের পর থেকে ইউনিয়নে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন। চাঁদাবাজী, সালিস বানিজ্য ও জমি দখল তিনি মুল পেশা হিসেবে বেছে নেন। গত বুধবার বিকেলে তিনি শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী নিয়ে তান্ডব চালিয়েছেন মন্নাফ হাওলাদার ও নয়ন হাওলাদারের সাড়ে ৫ একর আমন ধানের চারা রোপনকৃত জমি ট্রাক্টর মেশিন দিয়ে চাষ করে দখল করে নেয়। যুবদল সদস্য সচিব ও তার সহযোগীদের এমন ঘটনার শাস্তি দাবী করেছেন ভুক্তভোগীরা।

হলদিয়া ইউনিয়ন যুবদল সদস্য সচিব আরিফ গাজী চারা রোপনকৃত জমি চাষাবাদের কথা স্বীকার করে বলেন, ওই জমি আমার পৈত্রিক সম্পত্তি । কিন্তু তারা জোরপুর্বক ভোগদখল করছেন। তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ দোসররা আমাকে রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করতে এমন মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
বরগুনা জেলা যুবদল সভাপতি জাহিদ হোসেন মোল্লা বলেন, বিষয়টি জেনে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠিয়েছি। কেন্দ্রের সিধান্তের আলোকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, বিষয়টি আমি জানি। তবে কোন পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।