শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে পরাজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপি নেতারা

বিএনপির সিনিয়র নেতারা বলেছেন, গত ৭ ডিসেম্বর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তচনচ করে বর্বরতা চালানো হয়েছে। লন্ডভন্ড করেছে। সেখান থেকে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে, বোমা নাটক তৈরী করেছে। সরকার ভেবেছিল বিএনপি মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতাদের গ্রেফতার করে সমাবেশ পন্ড করবে। কিন্তু সেটা করতে পারেনি। সরকার ব্যর্থ হয়েছে, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে। আগামীতেও তাদেরকে রাজপথে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে।

গতকাল মঙ্গলবার নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র নেতা আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভীসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশের শুরু আগেই সকাল থেকে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নয়া পল্টনে দলীয় অফিসের সামনে জড়ো হতে থাকেন। তারা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ সকল গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। এর আগে ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির গণসমাবেশে ১৩ ডিসেম্বর ঢাকাসহ বিভাগীয় ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসহৃচি ঘোষণা করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিএনপির এই কর্মসহৃচিকে ঘিরে পুরো নয়াপল্টন জুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর ছিলো।

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ভোটাধিকার হরণ করেছে। গণতšস্ল হত্যা করে দিনের ভোট রাতেই ডাকাতি করে অবৈধভাবে সংসদ গঠন করেছে। কিন্তু এবার এই অবৈধ সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। তারা চলে যাবে। কিন্তু আপানারা থাকবেন। সুতরাং আপানারা জনগণের সংগে থাকুন।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করছে। তাদেরকে দলীয় ক্যাডার বাহিনীতে পরিণত করেছে। তবে এতো নির্যাতন করেও বিএনপিকে দুর্বল করা যায়নি। প্রত্যেক বিভাগীয় গণসমাবেশে লাখ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেছে। জনগণ পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে যে, এই সরকারকে তারা চায় না। গোটা বিশে^র নেতারা বলছেন- শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তাই এই সরকারকে পতন ঘটানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ লগি-বৈঠার রাজনীতি করে। তারা মানুস হত্যা করে। কিন্তু এভাবে নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়ে দেশের মানুষকে ঠেকানো যাবে না।

স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী রীগের বর্বরতার চেহারা এখন শুধু দেশে নয়, আন্র্জাতিকভাবে উন্মোচিত হয়েছে। তারা এখন বিদেশিদের পেছনে দৌড়াচ্ছে। কোনো কাজ হবে না। দেশের জনগণ এই সরকারকে আগেই ত্যাগ করেছে এখন ব তাদেরকে বাতিল করেছে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, যেভাবে একাত্তরে পাক হানাদার বাহিনী লুটপাট চালিয়েছে সেভাবেই বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে নারকীয় তান্ডব ও লুটপাট চালিয়েছে।

মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় সমাবেশে দলের ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদসহ মহানগরীর অঙ্গসংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ