সরকারি আইনি সহায়তা বাড়াতে তৃণমূল পর্যায়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, লিগ্যাল এইড অফিসের সক্ষমতা বাড়ানো, লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্যদের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো, উপজেলা পর্যায়ে লিগ্যাল এইড অফিস সম্প্রসারণ সহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন লিগ্যাল এইড কমিটির সভাপতিরা।
আজ শনিবার ঢাকার রেডিসন হোটেলে স্থানীয় পর্যায়ে লিগ্যাল এইড কমিটির সক্ষমতা বিষয়ক সমন্বয় সভায় কমিটির সভাপতিগণ এসব পরামর্শ দেন। ইউএসএআইডি’র প্রমোটিং পিস এন্ড জাস্টিস এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার যৌথ উদ্যোগে এসভার আয়োজন করা হয়। সভায় দেশের নির্বাচিত ২০ টি জেলার প্রতিটি থেকে একটি করে ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সংশ্লিষ্ট জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সভাপতি (জেলা ও দায়রা জজরা) অংশ নেন।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার সভা পরিচালনা করেন। এসময়, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অভ মিশন হেলেন লাফেভ ( Helen LaFave), প্রমোটিং পিস এন্ড জাস্টিস এর চিফ অফ পার্টি হেদার গোল্ডস্মিথ, আইন ও বিচার বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকতাগণসহ জাতীয় আইনত সহায়তা প্রদান সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সমন্বয় সভায় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো গোলাম সারওয়ার বলেন, বর্তমান সরকার আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে জোরদার করণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। আইনি সহায়তা কার্যক্রম জোরদার করতেই আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশে আজকের এই সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়েছে। তাঁর অভিপ্রায় অনুযায়ী প্রতিটি জেলায় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি কেন্দ্র গড়ে তোলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি প্যানেল আইনজীবীদের ফি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, ইউনিয়ন ও উপজেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সভাপতি হলেন জনপ্রতিনিধি। আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে গতিশীল করতে তাদের সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন। জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ততা বাড়ানো গেলে আইনি সহায়তা কার্যক্রম গতিশীল হবে।
সভায় অংশগ্রহণকারী উপজেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সভাপতিগণের মধ্যে কেউকেউ বলেন, উপজেলা লিগ্যাল এইড কমিটিকে কার্যকর করতে হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার কার্যকর সমন্বয়, আন্তরিকতা থাকতে হবে। তাছাড়া প্রচার ও প্রকাশনা খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে। ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটির আর্থিক সীমা বাড়াতে হবে। উপজেলা পরিষদের রাজস্ব বাজেট থেকে লিগ্যাল এইড খাতে খরচের অনুমোদন প্রয়োজন। কেউকেউ জনসচেতনতা বাড়াতে মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিন, মন্দিরের পুরোহিত, স্কুল- কলেজের শিক্ষককে সম্পৃক্ত করার পরামর্শ দেন।