চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের মধ্যে জাহিদ হোসেন রুমন (১৬) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন।
শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার আজমপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রুমন উপজেলার ওচমানপুর এলাকার মৃত নুরের জামানের ছেলে। তাকে ছাত্রলীগের কর্মী বলে দাবি করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসুদ করিম রানা।
তিনি জানান, দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ওচমানপুরে ছাত্রলীগের সঙ্গে জনসংযোগ কর্মসূচি ছিল তাদের। আজমপুর বাজারে বিএনপির কর্মসূচি থেকে অতর্কিত ছাত্রলীগের ওপর হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রাফি আরমান, মো. হাসান, সরওয়ার, আরেফিনসহ ১০ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে মো. হাসানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শাহিনুল ইসলাম স্বপন জানান, ছাত্রলীগের হামলায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
তিনি জানান, আগামী ৫ অক্টোবর বিএনপির ১৫ দিনের কর্মসূচির মধ্যে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চ উপলক্ষে মিরসরাইয়ে একটি পথসভা করার কথা রয়েছে। তারই প্রস্তুতি হিসেবে শুক্রবার চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান ওচমানপুর ইউনিয়নে একটি সভার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে।
ওচমানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, বিএনপি নেতা নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের অনুসারীরা স্থানীয় আজমপুর বাজারে আমাদের ছাত্রলীগ নেতা হাসান ও তার কয়েকজন সহযোদ্ধার ওপর প্রথমে হামলা চালায়। এতে হাসপাতালে রুমন নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) মনিরুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ওই এলাকায় অভিযান চলছে।
জোরারগঞ্জ থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেন, পুরো ঘটনার তদন্তসহ অপরাধীদের আটকের চেষ্টা চলছে।