জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার নিউইয়র্ক যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এবার প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীর তালিকায় চার রাজনৈতিক নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে সরকার।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
সফরসঙ্গীর তালিকায় বিএনপির দুইজন, জামায়াতের একজন এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একজন নেতা রয়েছে।
তৌহিদ হোসেন জানান, আমাদের প্রতিনিধিদলে এবার চারজন রাজনীতিবিদ যাচ্ছেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, জামায়াতের আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীর তালিকায় রাজনীতিবিদ রাখার কারণ জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটা করা হয়েছে, কারণ আমরা একটা পর্যায়ের দিকে যাচ্ছি, যেখানে রাজনীতিবিদদের কাছে দেশের সার্বিক পরিচালনার ভার যাচ্ছে। সেই হিসেবে আমরা তাদের প্রতিনিধিদলে রেখেছি।
তবে রাজনীতিবিদের বাহিরে প্রধান উপদেষ্টার বহরে মোট কতজন সফরসঙ্গী হবেন সেটি জানা যায়নি।
তৌহিদ হোসেন জানান, প্রধান উপদেষ্টা আগামী আগামী ২২ সেপ্টেম্বর একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে নিউইয়র্কে পৌঁছাবেন। ২৬ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখবেন। তিনি তার বক্তব্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রেক্ষিতে বিগত এক বছরে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সংস্কার ও আগামী দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
এবারের অধিবেশন কেন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তা তুলে ধরেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এ বছরের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এবার ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতির সভাপতিত্বে রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি উচ্চ পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হবে। রোহিঙ্গা সংকটকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘ কর্তৃক সাধারণ পরিষদে এমন একটি উচ্চ-পর্যায়ের সভার আয়োজন এবারই প্রথম।
নিউইয়র্ক সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ মহাসচিবের স্বাগত অভ্যর্থনা, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভ্যর্থনাসহ বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, এ সময়ে অনেক বৈঠকের সিদ্ধান্ত শেষ মুহূর্তেও হয়ে যায়। সে বিবেচনায় নতুন বৈঠক তালিকায় যোগ হতে পারে। আবার সময়ের অভাবে কোনো বৈঠক বাদও যেতে পারে।