পদ স্থগিত হওয়া বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান বলেছেন, যখন দেখছি মুক্তিযুদ্ধ রাখবে না। যখন দেখছি মুক্তিযুদ্ধকে কবর দিয়ে দিবে। যখন দেখছি ৩০ লাখ মানুষের রক্ত এ দেশে বৃথা যাবে। যখন দেখছি দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের মূল্য থাকবে না। তখন আমি মনে করেছি, না আমি ছাড়ব না। আমি তাদের ছাড়ব না, যারা মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করে। সেই কথা বলতে বলতে এমন এক জায়গায় পৌঁছলাম, যখন আমার সঙ্গে যুক্তিতে পারে না তখন ওরা বলা শুরু করল, আরে ও তো পাগল, ও তো ফজু পাগলা। আমাকে পাগল উপাধি দিয়ে রাজাকারেরা বাঁচতে চায়।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের হাওরের মিঠামইন উপজেলার মিঠামইন বাজার শেডে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের সামনে সারা জাতিকে শপথ করাতে চাই—আমি কোনো দিন মুক্তিযুদ্ধের বাইরে কোনো কাজ করব না, মুক্তিযুদ্ধের বাইরে যাব না। মুক্তিযুদ্ধ এ দেশ থেকে যাবে না। এই যে স্টেজে বসে আছেন মুক্তিযোদ্ধারা, তাদের সাক্ষী রেখে বলছি, তাদের আমি স্যালুট দিয়ে বলছি, হে মুক্তিযোদ্ধারা, আমি তোমাদের ভাই। তোমরা আমার সঙ্গে আছ, তোমরা আমাকে আনছ, কথা দিয়ে গেলাম-জীবন অথবা মৃত্যু, কোনো রাজাকার-আলবদরের বাচ্চা মুক্তিযুদ্ধকে এই দেশ থেকে বিনাশ করতে পারবে না।
বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান আরও বলেন, জীবনে-মরণে কোনো দিন আমি আপনাদের ছেড়ে যাব না। মৃত্যুর পর আমার লাশটা হাওরে আসবে, আপনাদের এলাকায় আসবে। আমি মরার পরে আপনাদের সিদ্ধান্তে এই এলাকাতে আমি কবরে ঘুমাব। আমি আপনাদের ছেড়ে যাব না।
মিঠামইন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ ভূঁইয়া, ফজলুর রহমানের সহধর্মিণী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম রেখা, ছেলে ব্যারিস্টার অভীক রহমানসহ আরো অনেকেই।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ হাজার হাজার বিএনপির নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ যোগ দেন।