অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী দেশের চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীদের দায়ী করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সমর্থকেরা পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে এবং দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে লুট করা অর্থ ব্যবহার করছে।’
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৩টার দিকে বসুন্ধরায় নিজ বাসভবনে জরুরি ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা প্রয়োজনে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের ঘুম হারাম করে দেব, তারা কোথাও নিরাপদ স্থান পাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামীকাল থেকে টহল বাড়ানো হবে যাতে নতুন কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়।’ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব পালনে গাফিলতি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন। তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমাদের অভিযান “ডেভিল হান্ট” চলবে, এসব অপরাধীরা কোথাও দাঁড়াতে বা বসতে পারবে না।’
এদিকে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে তারা বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যদি দুপুর ১টার মধ্যে পদত্যাগ না করেন, তবে মাঠপর্যায়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও একই দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। মূলত এ ঘটনার পরই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরে। পদত্যাগের দাবি জানানো হয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে মাঝরাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। যদিও তিনি পদত্যাগের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে জোর দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।