আজারবাইজানে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে কমপক্ষে ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৬৭ জন আরোহীকে নিয়ে বিমানটি জরুরি অবতরণ করে। এ সময় সঙ্গে সঙ্গে তাতে আগুন ধরে যায়। বিমানটি অগ্নিকুণ্ডের রূপ ধারণ করে।
ইমার্জেন্সি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, কমপক্ষে ২৫ জনকে তারা জীবিত উদ্ধার করতে পেরেছে।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। বিমানটি পরিচালনা করে আজারবাইজান এয়ারলাইন্স।
আকতাউ শহরের কাছে জরুরি অবতরণকালে তাতে আগুন ধরে যায়। জে২-৮২৪৩ ফ্লাইটটি আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ার গ্রোজনি যাচ্ছিল।
কিন্তু ঘন কুয়াশা থাকার কারণে তার গতিপথ বদলে দেয়া হয়। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার যে ভিডিও পাওয়া গেছে তাতে দেখা যায়, তীব্র গতিতে তা মাটিতে নেমে আসছিল। মাটি স্পর্শ করেছে বলে মনে হওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তা আগুনের গোলায় পরিণত হয়।
বিমান সংস্থাটি বলেছে, আকতাউ থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে জরুরি অবতরণ করেছিল বিমানটি। বাকু থেকে বিমানটি বুধবার স্থানীয় সময় রাত ৩টা ৫৫ মিনিটে উড্ডয়ন করে। কিন্তু তা ভোর ৬টা ২৮ মিনিটে বিধ্বস্ত হয়। এটি একটি এমব্রায়ের ১৯০ বিমান। ঘটনার সময় এতে ৬২ জন যাত্রী এবং ৫ জন ক্র ছিলেন। এর বেশির ভাগই আজারবাইজানের নাগরিক। তবে রাশিয়া, কাজাখস্তান এবং কিরগিজস্তানের কিছু যাত্রীও ছিলেন তাতে। জীবিত উদ্ধার করা ২৫ জনের মধ্যে ২২ জনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। কি কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তার কারণ অনুসন্ধান শুরু করেছে সরকার।