গাজীপুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে খুলে দেয়া হয়েছে তৈরি পোশাক কারখানাসহ সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান। শনিবার (৭সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দলে দলে শ্রমিকেরা কারখানায় প্রবেশ করেছেন। কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ কারখানায় এসেছেন। কারখানা এলাকার নিরাপত্তায় শিল্প পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। টহলে রয়েছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
গত কয়েকদিন শ্রমিক অসন্তোষ, বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ, কারখানা ভাঙচুরের ঘটনায় গাজীপুরে বেশ কিছু কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছিলেন কর্তৃপক্ষ। পরে বিজিএমইএ’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ও সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে সকল কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেন মালিকরা।
কাজে যোগ দিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। তারা বলছেন, হাতে গোনা কয়েকটি কারখানায় ছাড়া প্রকৃত শ্রমিকরা এ সময়ে তেমন কোন আন্দোলনে নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বহিরাগতরা সমস্যার সৃষ্টি করছে। শান্তি পূর্ণ পরিবেশে কাজ করতে চান তারা।
মালিকপক্ষ বলেছেন,ষড়যন্ত্রকারীরা যাতে হামলা চালিয়ে, ভাঙচুর করে শিল্প খাতে নৈরাজ্যের সৃষ্টি ও ক্ষতি করতে না পারে, সেজন্য আইন-শৃংখলা বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে থাকার প্রয়োজন রয়েছে।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল-২র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহম্মেদ জানান, সব কারখানাই খোলা রয়েছে। কারখানা এলাকায় নিরাপত্তায় প্রায় ৯শ’ শিল্প পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে। গাজীপুরের টঙ্গী, বোর্ডবাজার, ভোগরা, লক্ষীপুরা, কোনাবাড়ী, কাশিমপুর, কালিয়াকৈর সহ শিল্পাঞ্চলের কারখানাগুলো খোলা হয়। সবার প্রত্যাশা উৎপাদনকার স্বাভাবিক রেখে অর্থনীতি এগিয়ে যাবে এই খাতকে সামনে রেখে।