রাহানুমা সারাহ। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গাজী টিভির সাংবাদিক। তার দেহ ভাসছিল রাজধানীর হাতিরঝিলে। এ দৃশ্য দেখে, ঝিলের পানিতে নেমে তাকে উদ্ধার করেন সাগর নামের এক পথচারী। সাগর অচেতন দেহটি নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যান। পরে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা আত্মহত্যা করেছেন সারাহ।
তার মৃত্যুর বিষয়টি দেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করছে। এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা-এ নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য এখনো মেলেনি। পুলিশ বলছে, লাশের ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে মৃত্যু রহস্য।
বুধবার বিকালে হাতিরঝিল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ও এ ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে আমাদের খবর দেওয়া হয়। তারপর আমরা হাসপাতালে গিয়ে পারুল রায় নামে এক নারী পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করি।
সুরতহাল প্রতিবেদনে লিখেছেন, সারাহ রাহানুমার শরীরের কোনো অংশে দাগ বা আচড়ের চিহ্ন নেই। চুল, কপাল ও মুখ স্বাভাবিক। তবে, নাক দিয়ে তরল নির্গত হচ্ছে। হাতের আঙুলের নখগুলো নীল বর্ণের দেখা যায়।
মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সুরতহালে বলা হয়েছে, সারাহ রাহানুমার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ও উল্লেখযোগ্য কোনো কারণ জানা যায়নি। তবে, এটা জানা গেছে, সারাহ অচেতন অবস্থায় হাতিরঝিল লেকের মধ্যে ভাসছিল। তার শরীরে বাহ্যিক কোনো আঘাত বা আচড় নেই। কোনো যৌন নিপীড়নের চিহ্নও পাওয়া যায়নি। ফলে, মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তসহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।
মাসুদর রহমান আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে, মৃত্যুর কারণ চূড়ান্তভাবে জানা যাবে ময়নাতদন্তের পর।