বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মো. ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ধান কাটার মৌসুমের মত এখন দাবি আদায়ের মৌসুম শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক দাবির সঙ্গে একটা আর্থিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এতে সরকারের ব্যয় বাড়বে। সরকারের রাজস্ব হঠাৎ করে রাতারাতি বাড়বে না। ফলে সরকার কিভাবে এসব দাবি স্বল্প সময় পূরণ করবে? এসব দাবি পূরণ করতে হলে সরকারের টাকা ছাপাতে হবে। এতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে। মূল্যস্ফীতি হলে জনসাধারণ সাফার করবে।’
রোববার সচিবালের সামনে আন্দোলনরত আনসাদের বর্বর হামলায় আহত ছাত্র, সমন্বয়ক ও সাধারণ মানুষ ওপর বিশেষ করে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহকে দেখতে এবং চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা আরো বলেন, মূল্যস্ফীতি বাড়লে বাজারে আলুর দাম ৪০ টাকা থেকে ৮০ টাকা হবে,পটলের দাম বেড়ে যাবে, তেলের দাম ২শ’ টাকা ছোঁবে, পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা হবে।
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য করে ফাওজুল করিম খান বলেন, ‘নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় আসলে আমরা আলাপ করতে রাজি। এমন হয়নি যে কোনো উপদেষ্টার সাথে দেখা করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।’
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘এই সরকারের মেন্ডেড খুব স্ট্রং। ছাত্র-জনতা রাজপথে রক্ত দিয়ে এই সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে। সুতরাং কেউ যাতে মনে না করে যে এই সরকার বানের জলে ভেসে আসা সরকার।’
গত ১৬-১৭ বছরে অপকর্মের ইতিহাসের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘আমরা ন্যায্য দাবি ও বৈষম্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তবে বৈষম্য বিলোপের জন্য আমাদের সময় দিতে হবে।’
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা জানান, এই সরকার জনপ্রত্যাশার সরকার এবং এই জনপ্রত্যাশাকে পূরণ করতে যত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সরকার তা নেবে, তবে তার জন্য সময় প্রয়োজন।
হাসপাতাল পরিদর্শনকালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল উপস্থিত ছিলেন।