সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে ফুলকোর্ট সভা ডেকেছিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন আইনজীবীরা। এ অবস্থায় সভা স্থগিত করেছেন প্রধান বিচারপতি। গণমাধ্যমকে এটি নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
এর আগে বর্তমান সরকারের সাথে আলোচনা না করে ফুলকোর্ট সভা ডাকায় প্রতিবাদ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
একইসঙ্গে এর প্রতিবাদে হাইকোর্ট অভিমুখে ঘেরাওয়ের ডাক দেন আরেক সমন্বয়ক রিফাত রশিদ। এতে দেশের প্রতিটি জেলাকোর্ট, জর্জকোর্ট ও বিচারপতিদের বাসভবন ঘেরাও করতে ছাত্র-জনতার প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এমন পরিস্থিতিতে ফুলকোর্ট সভা ডেকে স্থগিত করতে বাধ্য হন প্রধান বিচারপতি।
সমন্বয়ক রিফাত রশিদ তার ফেসবুকে লিখেন, ‘ঢাকার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীসহ আপামর জনতাকে আহ্বান করা হচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব আপনারা প্রতিটি এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে হাইকোর্টের দিকে আসুন। হাইকোর্ট ঘেরাও করা হবে। সেইসাথে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একত্রিত হয়ে মিছিল বের করুন। দেশের প্রতিটি জেলাকোর্ট, জর্জকোর্ট ও বিচারপতিদের বাসভবন ঘেরাও করা হবে’।
‘আজ ফ্যাসিবাদী বিচারব্যবস্থাকে আজ সমূলে উৎখাত করবে গোটা বাংলাদেশ। দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সমিতির নামে যেই ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট শিক্ষক উইং রয়েছে তা আজ ভেঙেচুরে গুড়িয়ে দেয়া হবে, সকল সিন্ডিকেটকে আজকেই ভেঙে দেয়া হবে’।
‘ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট ও নানা অপকর্মে জড়িত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সরকারের সাথে কোনপ্রকার আলোচনা না করে ফুল কোর্ট মিটিং ডেকেছে। পরাজিত শক্তির যেকোন প্রকার ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। আইনজীবীরা ইতোমধ্যেই এর প্রতিবাদে জড়ো হয়েছেন’।
‘আমরা আগেই প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছিলাম। ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাদেরকে উষ্কানি দিলে এর ভয়াবহ পরিণাম ভোগ করতে হবে। অনতিবিলম্বে বিনা শর্তে প্রধান বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ করুন এবং ফুল কোর্ট মিটিং বন্ধ করুন’।
‘অন্যথায় যে জনতা অভ্যুত্থান করে স্বৈরাচারী হাসিনাকে গদি থেকে নামাতে পারে, আপনাদের গদি থেকে টেনে নামাতে তাদের আধঘন্টাও লাগবে না।