নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে জাতিসংঘ পুলিশ প্রধানদের চতুর্থ সম্মেলনে জাতিসংঘ পুলিশের কার্যক্রমে ফলপ্রসূ অবদান রাখার বিষয়ে বাংলাদেশের অঙ্গীকার ও প্রস্তুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সম্মেলনে “শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অভিনব কৌশল ও সম্ভাব্য সংঘাতের ক্ষেত্র” শীর্ষক সম্মেলনের প্রধান সেশনে প্রথম বক্তা হিসেবে বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
দুই দিনব্যাপী জাতিসংঘ পুলিশ প্রধানদের এ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কামরুল আহসান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে সম্মেলনে যোগ দেন।
বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে প্রাসঙ্গিক ও নির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক বিশেষায়িত পুলিশিং এর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম চলমান দেশসমূহের আইন ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংস্থাসমূহের দক্ষতা বৃদ্ধির উপর জোর দিতে হবে।
তিনি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের শেষে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের শান্তিরক্ষায় নিজস্ব সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা প্রদানের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার প্রদানের আহবান জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে মহিলা পুলিশ সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করতে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলন চলাকালে গাম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদৌলে সানিয়াং, জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল ফর পিস অপারেশন্স জ্যঁ পিয়েরে লাখোয়া, এবং আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল ফর অপারেশনাল সাপোর্ট অতুল খারে- এর সাথে পৃথক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেলদের সাথে বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি ও সক্ষমতার বিষয়টি তুলে ধরেন। এ সময় উভয় আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেলই শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের পেশাদারিত্ব ও অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশ থেকে আরও শান্তিরক্ষী প্রেরণের অনুরোধ জানান।