সোমবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আমতলীতে জিএম দেলওয়ারের স্বরণ সভা

আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব জিএম দেলওয়ার হোসেনের চতুর্থ মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও পারিবারিক উদ্যোগে স্বরণসভা ও দোয়া মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে লোচা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বরগুনা-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য জনতার নেতা গোলাম সরোয়ার টুকু এ স্বরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন। তার মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে পৌরসভার উদ্যোগে খাদ্য সহায়তা বিতরন করা হয়।

জানাগেছে, রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব গণ মানুষের আস্থার প্রতিক আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বর্ষিয়ান রাজনীতিবীদ সফল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ জিএম দেলওয়ার হোসেন ২০২০ সালের ৯ এপ্রিল প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুরবণ করেন। তিনি দীর্ঘ ৩২ বছর আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার মৃত্যুতে আমতলীবাসী একজন অভিভাবক হারিয়েছে। দীর্ঘ ৫৭ বছরের রাজনৈতিক জীবনে যার কাছে মানুষ পেয়েছে অফুরান্ত ভালবাসা। তিনি দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পদে অধিষ্ট হয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন। কর্মময় জীবনে তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তার মৃত্যুতে আমতলীবাসী হারিয়ে এক সুর্য্যসন্তানকে। সেই সুর্য্য সন্তানের চতুর্থ মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও পারিবারিকভাবে স্বরণ সভা ও দোয়া মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়। আমতলী সরকারী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগ সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম শাহজাহান কবিরের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বরগুনা গণ মানুষের নেতা জাতীয় সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড.এমএ কাদের মিয়া, সহকারী কমিশনার (ভুমি) তারেক হাসান, সহকারী পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ফোরকান, ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ও চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাড. মহসিন মিয়া । উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক জিএম ওসমানী হাসানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন পৌর আওয়ামীলীগ সাবেক সভাপতি অ্যাড. একেএম বাহাদুর শাহ, আমতলী বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক আনোয়ার হোসেন আকন, আমতলী সরকারী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল হোসেন বিশ্বাস, পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর জিএম মুছা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ উপ-কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম বাপ্পি, ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড.একেএম সামসুদ্দিন শানু ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন ফকির। এর আগে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে ৫’শ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরন করেছেন।

প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু প্রায়াত জিএম দেলোয়ার হোসেনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ১৯৬২ সালে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন জিএম দেলোয়ার হোসেন। ১৯৬৬’র ছয় দফা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করেন। ৬৮ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রত্যাহারের আন্দোলনে যুক্ত হন। এ আন্দোলনে অংশগ্রহনের কারনে তিনি জেল হাজতে যান। ১৯৬৯ গণঅভ্যূথান ও ১৯৭০’র নির্বাচনে দলের পক্ষে সংক্রিয়ভাবে কাজ করেন। ১৯৭১ সালে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। ১৯৭৫ সালে তৎকালিন সরকারের রাজনৈতিক মামলায় কারাভোগ করেছেন তিনি। কারাগার থেকে বের হয়েই আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক হন। এরপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৯৮৪ সালে তার দলীয় কর্মদক্ষতার কারনে আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯১ সালে আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হন। ওই সময় থেকে মুত্যুর আগ দিন পর্যন্ত তিনি আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হিসেবে দক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন। তার দলীয় কর্মদক্ষতায় সাধারণ মানুষের পেয়েছেন অফুরান্ত ভালোবাসা। তার এত সফলতার জন্যই আমতলী উপজেলা তৃণমূল নেতাকর্মীরা ছিল তার আস্থার প্রতিক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ