কিউবায় রাস্ট্রীয় পদকে ভূষিত হয়েছেন বাংলাদেশের দুই চিকিৎসা বিজ্ঞানী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল ও জাপানের ঔতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সেন্টার ফর গ্লোবাল এন্ড লোকাল ইনফেকশাস ডিজিজেজ-এর ভিজিটিং রিসার্চার ডা. শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবর।
গত ১ এপ্রিল দেশটির ভারাদেরো শহরে আয়োজিত এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুস্ঠানে সেদেশের রাস্টপতির পক্ষে তাদের হাতে “কার্লোস জে. ফিনলে অর্ডার” তুলে দেন বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রী এডওয়ার্ডো মার্টিনেজ ডায়েজ।
উল্লেখ্য “কার্লোস জে. ফিনলে অর্ডার” বিজ্ঞানে বিজ্ঞান গবেষনায় সর্বোচ্চ রাস্ট্রীয় পদক। কিউবার রাস্ট্রপতি এ সংক্রান্ত একটি ডিক্রি জারী করেন (নম্বর ৭৮৯; তারিখ ২৬ মার্চ, ২০২৪)। ইয়েলো ফিভারের আবিস্কারক ও নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনিত প্রথম কিউবান নাগরিক কার্লোস জে. ফিনলের নামে কিউবান সরকার এই পদকটি প্রবর্তন করেছেন।
বিজ্ঞানে অবদান রাখার জন্য কিউবার সরকার প্রতি বছর দেশী-বিদেশী বিজ্ঞানীদের “কার্লোস জে. ফিনলে অর্ডার”-এ সন্মানিত করে থাকেন। অন্যান্যের মধ্যে ২০১৮-এ রসায়নে নোবেল বিজয়ী মার্কিন বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. জর্জ পি. স্মিথও পদক লাভ করেন।
পদক প্রাপ্তির পর নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে যেয়ে অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীল বলেন, “চিকিৎসক এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানীর দ্বৈত সত্তা বজায় রাখাটা এদেশে বিশেষ করে খুবই চ্যালেন্জিং। কিউবার সরকারের প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা। কারন এ ধরনের স্বীকৃতি সমস্ত কস্টকে ভুলিয়ে দিয়ে নতুনভাবে এগিয়ে যেতে উৎসাহ যোগায়”।
উল্লেখ্য “ন্যাসভ্যাক” নামক হেপাটাইটিস বি’র একটি নতুন ওষুধ উদ্ভবনের জন্য কিউবান একাডেমি অব সাইন্সেস ২০১৯ সালে অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীল ও ডা. আকবরকে কিউবান ও জাপানী কো-রিসার্চারদের সাথে একাডেমি অব সাইন্সেসের সর্বোচ্চ পদক “প্রিমিও ন্যাশনাল” প্রদান করে।
এ ছাড়াও অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীল ২০২১-এ বাংলাদেশ একাডেমি অব সাইন্সেসর সর্বোচ্চ পুরস্কার “বাস গোল্ড মেডেল এওয়ার্ড”-এ ভূষিত হন।
“ন্যাসভ্যাক” ছাড়াও অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীল ফ্যাটি লিভার, লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যন্সার চিকিৎসায় স্টেম সেল এবং হার্বাল মেডিসিন নিয়ে গবেষনা করছেন।