শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’, কলাপাড়ায় ১৯৪ আশ্রয়কেন্দ্র, ৩১৬০ স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় রাত থেকে বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্রতা বেড়েছে। উত্তাল হতে শুরু করেছে সমুদ্র। পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে । উপকূলের ঝূঁকিপূর্ন এলাকা সহ কুয়াকাটা সৈকত থেকে পর্যটকদের নিরাপদ অশ্রয়ে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কলাপাড়া ইউএনও মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় জনপ্রতিনিধি, সরকারী কর্মকর্তা, স্বেচ্ছাসেবী, শিক্ষক, চিকিৎসক, এনজিও কর্মকর্তা, সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা দুর্যোগ ও ত্রান কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবির জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলায় ১৯৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ৩১৬০ জন স্বেচ্ছাসেবী পরিস্থিতি মোকাবেলায় মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত রয়েছে। বিকেল থেকে ঝূঁকিপূর্ন এলাকা থেকে মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। দুর্যোগকালীন সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত মানুষের খাদ্য ও স্বাস্থ্য সম্মত পানি নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

উপজেলা ঘূর্নিঝড় প্রস্তুতি সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ দুপুর ১২টায় পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ২১৫ কি.মি. দূরে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর -পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে রাত ১০টার দিকে পায়রাবন্দর উপকূল অতিক্রম শুরু করবে। ঘূর্নিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ১২০-১৩০ কি.মি.। যা দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া আকারে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। এর প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে নদ-নদীর পানি ২-৫ ফুট বৃদ্ধি পেতে পারে।

স্থানীয় সাংসদ অধ্যক্ষ মো: মহিব্বুর মহিব্বুর রহমান মহিব দুর্যোগ মোকাবেলায় আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ঝূঁকিপূর্ন এলাকার মানুষের পাশে দাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সন্ধ্যা ৬টায় দলীয় কার্যালয়ে জরুরী বৈঠক ডাকা হয়েছে।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, আমরা সদা প্রস্তুত থাকি পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে ৷ মঙ্গলবার দুপুর থেকে পর্যটকদের সৈকত থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং করছি।

পায়রা সমুদ্র বন্দর সূত্র জানায়, দুর্যোগ মোকাবেলায় কন্ট্রোলরুম খোলা সহ ৫টি ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্দর চ্যানেল থেকে সকল জাহাজ সমূহকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব জলযান ও ইকুইপমেন্ট সমূহকে সর্বোচ্চ নিরাপদ অবস্থানে রাখা হয়েছে।

কলাপাড়া ইউএনও মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা উপজেলা পরিষদ সভা করে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। ঝূঁকিপূর্ন এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ