খালেদা জিয়াকে পয়জনিং করে হত্যার চেষ্টা করছে সরকার, বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর এমন বক্তব্যের জবাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, খালেদা জিয়াকে ডা. জাহিদ ও পুত্রবধূ ডা. জোবায়দার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করা হচ্ছে। আমরা জানি না ওরা কোন পরিকল্পনার ছক কষছে কিনা? ওরা খালেদা জিয়াকে হত্যার ষড়যন্ত্র চেষ্টা করছে কি না? তাদের কথা অনুযায়ী আমরা এখন ভয়ে আছি?
সোমবার( ১৬ অক্টোবর) বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত যুব সমাবেশ তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, মির্জা ফখরুল নির্বাচন ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনকে যদি বাধাগ্রস্ত করেন তাহলে ২০০১-২০০৬ সালের মতো যে সন্ত্রাস কায়েম করেছিলেন এই যুবসমাজ আপনাদের সন্ত্রাসের জবাব দিয়েছিল, আপনাদেরকে প্রতিহত করেছিল। তাই আবার কোন ধরনের গোলযোগ সৃষ্টি করার চেষ্টা করবেন না। কোন কারণে কোন ধরনের অরাজকতা দেশে সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে এই যুবসমাজ মানুষের শান্তি-শৃঙ্খলা জানমালের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য রাজপথেই আপনাদেরকে কবর রচনা করবে।
বিএনপির নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেছেন খালেদা জিয়াকে পয়জনিং করে হত্যার করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে তার জবাবে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আরে বেকুব, শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন একবার নয় দুইবার নয় ১৩ বার হত্যার চেষ্টা করেছেন আর ১২ বার হত্যার ষড়যন্ত্র করেছেন। তারপরও খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত হবার পরে বয়সের অবস্থানা বিবেচনা করে তাকে কারাগার থেকে গুলশানের বাসায় থাকার ব্যবস্থা করেছেন শেখ হাসিনা। যে বাসায় বসে চিকিৎসা হচ্ছে সে বাসাটি খালেদা জিয়ার বাসা। সেই ভাষায় আপনারা সবাই আসা-যাওয়া করেন। সেই বাসা থেকে দেশের সর্বোচ্চ নামিদামি হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে।
তবে ভয়ের ব্যাপার, ওরা কিন্তু বুঝিয়ে দিচ্ছে? যেহেতু তারা বলছে পয়জনিংয়ের কথা। কারণ বিএনপির ভিতর দুইটা গ্রুপ আছে একটা আম্মা গ্রুপ আরেকটা ভাইয়া গ্রুপ। আমরা জানি না ওরা কোন পরিকল্পনার ছক কষছে কিনা? ওরা খালেদা জিয়াকে হত্যার ষড়যন্ত্র চেষ্টা করছে কি না? তবে তাদের কথা অনুযায়ী আমরা এখন ভয়ে আছি! তারা তাকে হত্যা করে দেশে একটি আন্দোলনের রাস্তা তৈরি করার ষড়যন্ত্র লন্ডনে বসে তারেক রহমানের নেতৃত্বে করছে কি না?
বিএনপির উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে যারা ভাইয়ের বোনকে, বাবার সামনে মেয়েকে ধর্ষণ করেছে বিএনপি-জামায়াত। সে সময় সরকারের চেয়ে আরেক শক্তিশালী সরকার ছিল হাওয়া ভবন।
সাংবাদিক বালু, অ্যাডভোকেট মমতাজকে হত্যা করেছে। যে গ্রেনেড যুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় তারা ১৪টি গ্রেনেড মেরেছে, মামলা নেয়নি। তারা বলে আইনের শাসনের কথা।
যুবলীগ রাজপথে থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, যুব সমাজ পরিষ্কার জানাতে এসেছে, রাজপথেই আপনাদের কবর রচনা করবে। বাংলাদেশে যেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তি যেন কোনো যড়যন্ত্র করতে না পেরে সেদিকে নজর রাখতে হবে।
ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিএনপির দ্বিচারিতা সম্পর্কে তিনি বলেন, পবিত্র মসজিদ রক্ষার জন্যে লড়াই করছে, সেই ফিলিস্তিনদের ওপর কী নিপীড়ন চালাচ্ছে। একটি টেলিফোন রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। সেখানে মির্জা ফখরুল তারেক জিয়াকে বলছেন, একটি বিবৃতি দেওয়া লাগে। সেখানে তারেক রহমান বলছে, পশ্চিমাদের ক্ষেপিয়ে বিবৃতি দেওয়া যাবে না। আর শেখ হাসিনা সরাসরি বলছেন, ফিলিস্তিনে কোনো নিপীড়ন চালানো যাবে না।
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।