আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে বিএনপি’র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবী সম্পর্কে বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার তো মরে ভূত হয়ে গেছে। এ ভূত মাথা থেকে নামান। নয় তো এ ভূতে বিএনপি শেষ হয়ে যাবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন মরা লাশ। ঐ তত্ত্বাবধায়ক আর কোনোদিন চোখ মেলবে না। ফখরুল সাহেব তত্ত্বাবধায়ক বলতে বলতে সব শেষ। তাই বলছি, বিএনপি’র আমও যাবে, ছালাও যাবে। ’
শুক্রবার বিকেলে দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল থেকে ঢাকার প্রবেশপথ নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘ফখরুল বলেছেন আওয়ামী লীগের নাকি সময় শেষ। আওয়ামী লীগের সময় শেষ না। ফখরুলের সময়, বিএনপি’র সময় শেষ। বিএনপি মিথ্যাবাদী। মিথ্যাচার, গুজব- এটাই এদের রাজনীতি।
দুর্নীতি আর মানুষ খুন -এটাই হচ্ছে বিএনপি’র আসল রূপ। ফখরুল তত্ত্বাবধায়ক বলতে বলতে শেষ। দুই সেলফিতে আপনাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ভারতে এক সেলফি, এরপর নিউইয়র্কে আরেক সেলফি। দুই সেলফিতে বিএনপির ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘অন্তরে জ্বালা। পদ্মা সেতু হয়ে গেল, মেট্রোরেল হয়ে গেল। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে গেল। একদিনে একশ সেতুর উদ্বোধন। জ্বালারে জ্বালা অন্তরে জ্বালা, বিএনপির।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘তারা খাম্বা দিয়েছে, বিদ্যুৎ দেয়নি। এখন শেখ হাসিনার আমলে শতভাগ বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে। খেলা হবে! অক্টোবর পার হয়ে যাচ্ছে। ফখরুল নাকি ঢাকা অবরোধ করবেন। এ নারায়ণগঞ্জের সমাবেশ থেকে বলতে চাই, জনগণ তাদের জবাব দেবে। আগুন নিয়ে এলে হাত পুড়ে যাবে। লাঠি নিয়ে এলে হাত ভেঙে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘ফখরুল বলেছেন শেখ হাসিনা ঘোরাঘুরি করেন। শেখ হাসিনা কোথায় গেছেন। জি-২০ সম্মেলনে। কী সম্মান নরেন্দ্র মোদি দিয়েছেন! নিউইয়র্কে গিয়েছেন, কী সম্মান পেয়েছেন! শেখ হাসিনাকে নিয়ে আমরা গর্বিত। দেশের প্রয়োজনেই তিনি বাইরে যান। তিনি ব্রাসেলসে যাচ্ছেন আমন্ত্রণে। তিনি যাচ্ছেন দেশের জনগণের জন্য। ’
বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ওরা গণতন্ত্রের কী জানে? ওরা জানে মানুষ খুন, লুটপাট, ভোটচুরি। শেখ হাসিনাকে টার্গেট করেছিল বিএনপি। এদের হাতে বাংলাদেশের মানুষ ক্ষমতা আর ফিরিয়ে দেবে না। আপনাদের বলছি বিএনপি থেকে সাবধান। ’
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্থিতিশীল। এটা বিএনপির সহ্য হয় না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত খুনি জিয়ার দল এখন গণতন্ত্রের সবক দেয়। আগামী দিনে ওরা আবার জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসন্ত্রাসের চেষ্টা করবে। ’
সমাবেশে আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন ‘অক্টোবর মাসেই বেগম খালেদা জিয়া ও বঙ্গবন্ধুর খুনী জিয়ার দল ঘোষণা করেছে, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করবে। এ জন্য তারা সন্ত্রাসের পথে যাবে। তাদেরকে প্রতিহত করতে আমরা প্রস্তুত আছি। আজকের এই জনস্রোত প্রমাণ করে আওয়ামী ঐক্যবদ্ধ আছে।’
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাবেক সংসদ সদস্য কায়সার হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভুঁইয়া সাজনু প্রমুখ।