আগামী ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) উপনির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী বিল্লালের সুযোগ্য সন্তান জাপান আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ইন্জিনিয়ার আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার (পলাশ)।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সংবাদ সম্মেলনে নৌকা প্রতীক পাওয়ার দাবি জানিয়ে আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার বলেন, ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করি। সেই সময়ে বিএনপি জামাত ও স্বাধীনতা বিরোধীচক্র আমাদের বাড়িতে তিনবার ডাকাতি, অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক ভাংচুর করে। আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ২৪টি মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
তিনি বলেন, আমি সরাইল সরকারী কলেজের ১ নম্বর যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ছিলাম। ছাত্রলীগ করার কারণে তিনবার জেলে যেতে হয়েছে। এক বছর জেলখানায় থাকতে হয়। আমার পরিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামীলীগের অন্যতম দাতা পরিবার। আমার পরিবার তথা আমার বংশ ও আত্বীয় স্বজনের মধ্যে অন্য দলের নেতা, কর্মি ও সমর্থক নেই। তিনি দৃঢ়চিত্তে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরের সময় আমিসহ ৪৩জন শিল্প বিনিয়োগকারীকে আপনার সামনে উপস্থাপন করেছিলাম, আপনি ওইসব শিল্প বিনিয়োগকারীকে উৎসাহ দিয়েছিলেন এবং আমাদেরকে সূর্য সন্তান হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।
তিনি বলেন, আমি শুধু সরাইল-আশুগঞ্জ নয় সমগ্র বাংলাদেশে জাপানী বিনিয়োগের শিল্পকারখানা গড়ে দেশকে উন্নতির শিখরে নেয়ার প্রত্যাশা করছি। আমিই একমাত্র সরাইল-আশুগঞ্জে ৫২ বছরে জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান ৩৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মননা স্বারক প্রদান করেছি।
আপনি গনতন্ত্রের মানষ কন্যা, মাদার অব হিউমিনিটি আপনার নিকট বিনীত নিবেদন সরাইল- আশুগঞ্জ নির্বাচনী এলাকায় ত্যাগী ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য দেখে মনোনয়ন দিলে উন্নয়নমুলক কাজ করা খুবই সহজ।
তিনি জোর দাবি করে বলেন, আমাকে নৌকা প্রতীক মনোনয়ন দিলে দেশি বিদেশী বিনিয়োগের মাধ্যমে আমার নির্বাচনী এলাকায় সরাইল-আশুগঞ্জে পাঁচটি শিল্পকারখানা স্থাপন করে আনুমানিক পচিঁশ হাজার শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত ও বেকার ছেলে মেয়েদেরকে কর্মসংস্থাপনের ব্যবস্থা করতে পারবো বলে আশা করছি।