প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আজ সোমবার (৩১ জুলাই) গণভবনে নৌবাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল এম নাজমুল হাসান, ওএসপি, এনপিপি, এনডিসি, এনসিসি, পিএসসি সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন। নৌবাহিনী প্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণের পর প্রথমবারের মত নৌপ্রধান প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতে মিলিত হন। এসময় প্রধানমন্ত্রী নৌপ্রধানকে অভিনন্দন জানান। নৌবাহিনী প্রধান প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী নৌবাহিনী প্রধানের দায়িত্ব পালনে সাফল্য কামনা করেন এবং এ লক্ষ্যে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। নৌবাহিনী প্রধান দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনা কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী নৌবাহিনী প্রধানকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আমাদের সমুদ্র এলাকা সম্ভাবনার এক বিশাল ক্ষেত্র। এর সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি সমুদ্র সম্পদের আহরণ, সমুদ্র বাণিজ্যের নিরাপত্তা ও সুনীল অর্থনীতির বিকাশে নৌবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নৌবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে আধুনিক সাবমেরিন ও সর্বোচ্চ সংখ্যক যুদ্ধজাহাজ, গড়ে তোলা হয়েছে হেলিকপ্টার ও মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট সমৃদ্ধ নেভাল এভিয়েশন এবং বিশেষায়িত ফোর্স সোয়াড্স। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী আজ ত্রিমাত্রিক, দক্ষ ও চৌকস বাহিনী হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, নবনিযুক্ত নৌবাহিনী প্রধানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ নৌবাহিনী আরো আধুনিক, যুগোপযোগী এবং শক্তিশালী বাহিনীতে পরিণত হবে।
মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনার আলোকে নৌবাহিনী প্রধান সকল স্তরের নৌসদস্যদের সম্মিলিত প্রয়াসে একটি ‘স্মার্ট নৌবাহিনী’ গঠনের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।