এবার সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করতে রাজি হয়েছে বিএনপি। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে রাজি ছিল না দলটি । তবে শনিবার (২২ জুলাই) সোহরাওয়ার্দীতে তারুণ্যের সমাবেশ করতে রাজি হয়েছে তারা।
ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনের এর আগে কয়েকটি বিভাগে এই তারুণ্যের সমাবেশের আয়োজন করা হয়। শনিবার তাদের এ কর্মসূচির শেষ সমাবেশ।
সমাবেশের জন্য অনুমতি নিতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণ বিএনপি আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী, ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ বৃহস্পতিবার রাতে ডিএমপি কার্যালয়ে যান।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা সেখান থেকে বের হয়ে আসেন। এরপর যুবদল সভাপতি জানান, পুলিশের পরামর্শে তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারুণ্যের সমাবেশ করতে রাজি হয়েছেন।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর নয়া পল্টনে সমাবেশ আয়োজনে অনড় থাকে বিএনপি। সমাবেশের আগে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় এক বিএনপি কর্মী নিহত হন। হামলার পর পুলিশ বিএনপি কার্যালয় অবরোধ করে রাখে। পরে গোলাপবাগ মাঠে ওই সমাবেশ করে বিএনপি।
তখন বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, সোহরাওয়ার্দী মাঠ বড় সমাবেশ আয়োজনের জন্য উপযুক্ত না। সেখানে প্রবেশের জন্য একটি গেট আছে। বিপুল কর্মী-সমর্থকদের পক্ষে একটি প্রবেশ পথ দিয়ে ঢোকা এবং বের হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হবে।
ওই সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির পক্ষ থেকে এও অভিযোগ করা হয় যে, সরকারি সংস্থা কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশের কথা বলছে।
ওই সময় ছাত্রলীগের সম্মেলনের আয়োজন সোহরাওয়ার্দীতে চলছিল জানিয়ে বিএনপি বলেছিল, এতে তাদের সমাবেশ আয়োজনে বিঘ্ন ঘটবে।