সোমবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আমতলীতে রোদ বৃষ্টিতে গাছতলায় পাঠদান, প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্কুল ভবন নির্মাণের দাবী

স্থান সংঙ্কুলণ না হওয়ায় রোদে গাছতলায় এবং বৃষ্টিতে পরিত্যাক্ত ভবনের বারান্দায় পাঠদান করাচ্ছেন আমতলী উপজেলার উত্তর টিয়াখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। তিন বছর ধরে এভাবেই চলছে বিদ্যালয়ের পাঠদান। এতে পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দ্রুত স্কুল ভবন নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা।

জানাগেছে,১৯৭৩ সালে আমতলী উপজেলার উত্তর টিয়া সরকারী প্রাথমিক প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে টিন সেডের ঘরে পাঠদান করে আসছে। ২০০৩ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর একতলা ভবন নির্মাণ করে। ভবন নির্মাণের ১০ বছরের মাথায়ই ফাটল ধরে পলেস্তারা খসে পরে। ৫ বছর ধরে ওই ধসে পড়া ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন শিক্ষকরা। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ভবনের পলেস্তারা পড়ে আহত হয় বলে জানান শিক্ষকরা।

২০২১ সালে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কর্তৃপক্ষ ওই বিদ্যালয় ভবন পরিত্যাক্ত ঘোষনা করেছেন। পরিত্যাক্ত ঘোষনার পর থেকেই স্থান সংঙ্কুলণ না হওয়ায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের রোদে গাছতলায় এবং বৃষ্টিতে পরিত্যাক্ত ভবনের বারান্দায় পাঠদান করাচ্ছেন শিক্ষকরা। গত তিন বছর ধরে এভাবেই চলছে ওই বিদ্যালয়ের পাঠদান। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসে আবেদন করলেও ভবন নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না এমন অভিযোগ প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমানের।

সোমবার সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের গাছতলায় এবং তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের পরিত্যাক্ত ভবনের বারান্দায় পাঠদান করানো হচ্ছে। অন্য শ্রেনীর ক্লাস একটি টিন সেডের ভবনে করাচ্ছে।

শিক্ষার্থী মরিয়াম, মারিয়া ইসলাম, আবু হানিফ, সাকিল, হাসিবুর রহমান, মাহফুজ ও নাজমা আক্তার বলেন, প্রচন্ড রোদে গাছতলায় এবং বৃষ্টিতে পরিত্যাক্ত ভবনের বারান্দায় পাঠদান করতে হচ্ছে। আমরা বেশ কষ্টে ক্লাস করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দ্রুত স্কুল ভবন নির্মাণের দাবী জানান তারা।

সহকারী শিক্ষক আব্দুল মান্নান, ডেইজি বিশ্বাস ও নাসরিন আক্তার বলেন, স্থান সংঙ্কুলণ না হওয়ায় পরিত্যাক্ত ভবনের বারান্দায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে হচ্ছে। প্রচন্ড রোদে গাছতলায় এবং বৃষ্টিতে বারান্দায় ক্লাস করছি। গত তিন বছর ধরে এভাবেই পাঠদান চলছে। এতে আমাদের বেশ সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের দাবী জানান তারা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, তিন বছর ধরে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান নিয়ে বেশ সমস্যায় আছি। ভবন নির্মাণের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসে আবেদন করেছি কিন্তু ভবনে নির্মাণে কোন কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সফিকুর রহমান বলেন,ওই বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের চাহিদা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়নি।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, দ্রুত বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ