দৈনিক প্রথম আলোকে স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী উল্লেখ করে এর নিবন্ধন বাতিল ও চক্রান্তকারীদের শাস্তি দাবি করেছেন বিশিষ্টজনরা।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে স্বাধীনতা-সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে শিক্ষক, সাহিত্যিক, কবি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিল্পী, সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই দাবি জানান।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বিশিষ্টজনরা বলেন, আসন্ন নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক পরিবেশ ঘোলা করতেই পরিকল্পিতভাবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে হেয় করে সংবাদ প্রচার করেছে দৈনিক প্রথম আলো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে হেয় করার এই অপচেষ্টার মদদদাতাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, এটি সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত। স্বাধীনতার অবমূল্যায়নকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার আইন পাস করতে হবে।
শিল্পীদের একাংশ প্রথম আলোর নিবন্ধন বাতিল চেয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন করেছে। বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী উল্লেখ করে এর নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়েছে স্বাধীনতা-সচেতন নাগরিক সমাজ। সেই সঙ্গে পত্রিকাটির নিবন্ধন বাতিল ও সংবাদ প্রকাশের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ‘চক্রান্তকারী’ আখ্যা দিয়ে শাস্তির দাবিতে জানিয়েছে তারা।
শিল্পীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, চিত্রনায়ক রিয়াজ, অভিনেত্রী উর্মিলা শ্রাবন্তী কর, তারিন জাহান, তানভিন সুইটি, অভিনেতা শাহেদ শরীফ খান, অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি, ডিরেক্টর গিল্ডসের সেক্রেটারি কামরুজ্জামান সাগর ও আনজাম মাসুদ।
মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন, ছিলেন ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
এই মানববন্ধনে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা বাদী সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও ‘বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, ‘আমি দেশকে ভালোবাসি তাই মুক্তিযুদ্ধকে ভালোবাসি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর কোনো আঘাত আসুক, তা আমি চাই না। প্রথম আলো যা করেছে সেটার জন্য প্রথম আলোকে কালো তালিকাভুক্ত করে এর নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানাই।’
মানবন্ধনে আরো রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
বক্তারা প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকে শাস্তি প্রদান ও পত্রিকাটিকে কালো তালিকাভুক্ত করে এর নিবন্ধন বাতিল করার দাবি জানান।