প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, দেশের দুর্যোগ, দুর্বিপাকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে নারীরা। আমাদের দেশে মেয়েদের সামনে আসা এবং এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সহজ ছিলো না। মেয়েদের অধিকার নিশ্চিত এবং সমাজ ও রাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ পদে মহিলাদের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নারী ক্ষমতায়নে সরকারের উদ্যোগকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সবার প্রতি আহবান জানান। দেশের প্রান্তিক অঞ্চলে নারী শিক্ষায় উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার অবদান অনস্বীকার্য। তিনি আরও বলেন, মানুষ হিসেবে নারীর স্বীকৃতি গুরুত্বপূর্ণ।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এবং সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ-এর যৌথ আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৩ উদাপন করা হয়েছে। ডিআরইউ-এর নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে ডিজিটাল সাংবাদিকতা: নারীদের চ্যালেঞ্জ ও ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন দেশের বিশিষ্ট কয়েকজন নারী। কর্মক্ষেত্রে অবদানের জন্য চারজন ফ্রন্টলাইনার ফ্রেন্ডশিপ কর্মীকে ’ওমেন অব ভেলর’ সম্মাননাও প্রদান করা হয়।
এর আগে নারী দিবসের র্যালি, কেক কাটা এবং পরে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নারী দিবসকে উযপান করে ডিআরইউ এবং ফ্রেন্ডশিপ।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, এমপি। ডিআরইউ সভাপতি মোরসালিন নোমানী এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফ্রেন্ডশিপ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক রুনা খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এবং বিডব্লিউসিসিআই-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক নাজমা জামালউদ্দিন। এতে উদ্বোধনী বক্তৃতা করেন ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল এবং সঞ্চালনায় করেন ডিআরইউ-এর নারী বিষয়ক সম্পাদক মরিয়ম সেঁজুতি।
রুনা খান বলেন, চরের মেয়েরা যারা ঘরে বসে থাকতো, শুধু ঘরের কাজে আবদ্ধ থাকতো, তারা এখন নেতৃত্ব দিচ্ছে। চরের মেয়েরা এখন বিশ্ববিদ্যালয় এবং সমাজের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে অবদান রাখছে। লিঙ্গ সমতা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই নারী সাংবাদিকদের পাশাপাশি পুরুষ সাংবাদিকদেরও দায়িত্ব নারীদের অধিকার নিশ্চিতে কথা বলা, নারী অধিকার তুলে ধরা। প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারীদের অবস্থা, নারীদের ঘুরে দাড়ানোর কথা জাতির সামনে তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের আহবান জানান।
চরে সেবামূলক কাজে বিশেষ অবদানের জন্য ‘ওমেন অব ভেলর’ সম্মাননা প্রাপ্ত ফ্রেন্ডশিপ-এর ফ্রন্টলাইনার কর্মীবৃন্দ হলেন সেভিংস লাইভস ক্যাটাগরিতে গাইবান্ধার খামারজানি চরের মোসাম্মাৎ মরিয়ম, পোভার্টি এলিভেশন ক্যাটাগরিতে শ্যামনগরের শংকরটির মোসাম্মাৎ সুফিয়া খাতুন, ক্লাইমেট অ্যাডাপ্টেশন ক্যাটাগরিতে গাইবান্ধার মাদারিপাড়ার মোসাম্মাৎ শাহিনুর বেগম এবং এমপাওয়ারমেন্ট ক্যাটাগরিতে কুড়িগ্রামের রৌমারীর রহিমা বেগম।