পুলিশের বাঁধার মুখে পায়রা নদী ফেরিঘাট থেকে ফিরে গেল আমতলী উপজেলার তিন শতাধিক বিএনপির নেতাকর্মী। এতে তারা কেন্দ্র ঘোষিত বরগুনা গণ মিছিল অংশ নিতে পারেনি। ঘটনা ঘটেছে শনিবার সকালে আমতলী উপজেলার পায়রা নদীর ফেরিঘাটে। এ ঘটনায় নেতাকর্মীরা ক্ষুব্দ হয়ে ফেরিঘাটে বিক্ষোভ করেছে।
জানাগেছে, বিএনপি কেন্দ্র ঘোষিত গণ মিছিল শনিবার সকালে আমতলী উপজেলা বিএনপি আহবায়ক মোঃ জালাল আহম্মেদ ফকির ও সদস্য সচিব মোঃ তুহিন মৃধার নেতৃত্বে তিন শতাধিক নেতাকর্মী বরগুনা যেতে আমতলী ফেরিঘাটে আসেন। পায়রা নদীর ফেরি ঘাটে আসা মাত্রই আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) রনজিৎ কুমার সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ ফেরি ও খেয়া চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে বিএনপি নেতাকর্মীরা বরগুনা জেলা বিএনপির গণ মিছিলে অংশ নিতে পারেনি। পরে বিএনপি নেতাকর্মীরা ক্ষুব্দ হয়ে ফেরিঘাটে বিক্ষোভ করেছে। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাটে শতাধিক যানবাহন আটকে পরে। এতে সহস্রাধিক সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পরেছে। অপর দিকে তালতলী উপজেলার ছোটবগী ও নকরি খেয়া চলাচল পুলিশ বন্ধ করে দেয়। এতে তালতলীর বিএনপি নেতাকর্মীরা বরগুনা জেলা বিএনপির গণ মিছিলে যেতে পারেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বিএনপি কর্মী ও সাধারণ মানুষ বলেন, পুলিশ এসে ফেরি ও খেয়া চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। প্রায় দুই ঘন্টা ফেরি ও খেয়া চলাচল বন্ধ ছিল। এতে অন্তত সহস্রাধিক মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়েছে। ফেরি ঘাটে শতাধিক যানবাহন আটকে পরেছে।
আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ তুহিন মৃধা বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত গণ মিছিল কর্মসুচীতে বরগুনা যেতে উপজেলার তিন শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে পায়রা নদীর ফেরিঘাটে আসি। ফেরি ঘাটে আসা মাত্রই পুলিশ ফেরি ও খেয়া চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে নেতাকর্মীদের নিয়ে ফিরে এসেছি।
আমতলী ফেরিঘাট পরিচালক মোঃ হাসান মিয়া বলেন, সকালে দুই ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। পুলিশ ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
পায়রা নদী খেয়াঘাট পরিচালক আলহাজ্ব আবদুল মজিদ খাঁন বলেন, আমতলী ও তালতলী থানার ওসির নির্দেশে খেয়া চলাচল বন্ধ রেখেছি।
আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) রনজিৎ কুমার সরকার ফেরি ও খেয়া চলাচল বন্ধের কথা অস্বীকার করে বলেন, পায়রা নদীর ঘাট কর্তৃপক্ষ ফেরি ও খেয়া চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। পরে পরিস্থিতি শান্ত করতে ঘটনাস্থলে গিয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রনে এনে ফেরি ও খেয়া চলাচল স্বাভাবিক করে দিয়েছি।