প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এইট পাস দিয়ে, মেট্রিক ফেল দিয়ে দেশ চললে উন্নয়ন হয় না। আমরা ক্ষমতায় আসার আগে সরকারে ছিল বিএনপি। ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ ছিল বিএনপির সময়। আমরা ৪৮ বিলিয়ন পর্যন্ত নিয়েছিলাম।
আজ শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিকেল পৌনে ৩টায় সমাবেশে যোগ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে সমাবেশের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন তিনি। এছাড়া বেলুন ও পায়রা ওড়ানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কভিড টিকা কিনেছি, বিনিয়োগ করেছি, বিমান কিনেছি, পায়রা বন্দর নিজস্ব অর্থায়নে করেছি। এভাবে রিজার্ভ থেকে খরচ হয়েছে। ঘরের টাকা ঘরে থাকছে। দেশের জনগণের উন্নয়নে এই টাকা ব্যবহার করছি। যারা বলেছিল দেশ শ্রীলঙ্কা হবে, তাদের মুখে ছাই পড়েছে।
তিনি বলেন, বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করলেও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
বিএনপির মুখে আওয়ামী লীগের সমালোচনা শোভা পায় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, তাদের এক নেতা এতিমের টাকা আত্মসাৎ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। আরেক নেতা তারেক রহমান মানি লন্ডারিং, গ্রেনেড হামলা ও দশ ট্রাক অস্ত্র পাচার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতা পর বঙ্গবন্ধু যখন দেশ গড়ার কাজে হাত দেন, তখন এক টাকাও রিজার্ভ ছিল না। কিন্তু তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশকে আবার উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাই। বাংলাদেশকে এখন কেউ অবহেলার চোখে দেখে না।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অনেক সমালোচনা করছে অনেকে। তারা নাকি উন্নয়ন চোখে দেখে না। এই যে মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট এগুলো কে করেছে?
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে নাকি আমাদের উন্নয়ন চোখে দেখে না। চোখ থাকতে অন্ধ হলে দেখবে কী করে? আমরা কত যুবকের কর্মসংস্থান করেছি। আর জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া? সবই তো একই ইতিহাস। হাজার হাজার যুব নেতাদের হত্যা করেছেন।
যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোনোদিন যাতে দুর্ভিক্ষ না হয়, সেজন্য সব জমিতে চাষ নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের আমদানি কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই আত্মনির্ভরশীল হতে হবে। এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। নিজের গ্রামে গিয়ে প্রতিটি জমিকে কাজে লাগাতে হবে। চাষ করতে হবে, যেটাই হোক।
এসময় সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি থেকে বিরত থাকতে যুবলীগ নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, শুধু নিজেরা না, অন্যদেরও বিরত রাখতে কাজ করতে হবে।
মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। এতে আরও বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও জাহাঙ্গীর কবির নানক। সঞ্চালনা করছেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।