চাষাড়ার যানজট নিরসনে কাজ করা কমিউনিটি পুলিশের এক সদস্যকে মারধরের অভিযোগে তিন যুবক কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো মিঠু (২০), জনি (১৮) ও জহিরুল (২৩)। একই সাথে আতহবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে কমিউনিটি পুলিশের সদস্য নাছির কে। উদ্ধারের পর তাকে শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বেলা ১২টায় ফতুল্লা মডেল থানার মাসদাইর এলাকা থেকে নাছিরকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরআগে, শহরের চাষাঢ়া থেকে নাছিরকে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। অটো রিক্সার চাকা পাংচার করে দেয়ায় তাকে অপহরণ করে আটক যুবকরা।
জানা যায়, চাষাড়ার প্রধান সড়কে যানজট নিরসনে কাজ করতো নাছির। নিষিদ্ধ যান অটো রিক্সা চাষাড়া মোড়ে প্রবেশে বাধা দিতো সে। অটো রিক্সার চালকরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মোড়ে প্রবেশ করায় গতকাল সকালে চারটি গাড়ির চাকা পাংচার করে দেন নাছির। এতে করে তার উপর ক্ষিপ্ত ছিল ক্ষতিগ্রস্ত চালকরা। বেলা ১১টার দিকে ৫/৬ চালক একত্রিত হয়ে চাষাড়া মোড় থেকে কমিউনিটি পুলিশের সদস্য নাছির কে মাসদাইর এলাকায় নিয়ে গিয়ে বেদম প্রহার করে। তারা তাকে কাঠের টুকরো ও ইট দিয়ে আঘাত করে আহত করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নাছির কে উদ্ধার সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় সবুজ ও রমজান নামের আরও ২ চালক। আটককৃত যুবকরা সবাই জামতলার নজরুলের গ্যারেজের অটোরিক্সা ভাড়া নিয়ে চালিয়ে আসছিলো।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশের (এডমিন) টি,আই করিম জানায়, যানজট নিরসনে এবং অটেরিক্সা-ইজিবাইক যাতে শহরে প্রবেশ করতে না পারে সে সকল বিষয়ে কমিউনিটি পুলিশের সদস্য নাছির তাদের হয়ে কাজ করছিলো। বেলা ১১ টার দিকে নাছিরও চাষাড়া রেল স্টেশন সংলগ্ন একটি রেস্টুরেন্টে নাস্তা করছিলো। এমন সময় চার-পাঁচজন যুবক টেনে হিচড়ে রেস্টুরেন্ট থেকে নাছির কে বের করে অপহরণ করে মাসদাইর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে তাকে প্রচন্ড রকমের মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে পুলিশ নাছির কে উদ্ধার করে এবং তিনজনকে গ্রেফতার করে। আহত নাছির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।