স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি বলেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোরবানীর পশুর সকল প্রকার বর্জ্য অপসারণ এবং কোরবানির স্থান পরিস্কার করতে হবে৷ অতীতেও নির্দেশনা ছিল, কোরবানি পরেরদিন সূর্যোদয়ের পূর্বেই সকল প্রকার বর্জ্য অপসারণ করার৷ কিন্তু, দেখা গেছে, ৮ থেকে ১০ ঘন্টার মধ্যে সকল বর্জ্য অপসারিত হয়েছে। কাজেই, অতীতে যত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে আমরা সফলতার সাথে তা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।
বৃহস্পতিবার সকালে পবিত্র ঈদ উল আযহা ২০২৪ উপলক্ষ্যে জাতীয় ঈদগাহ প্রস্তুতি, পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানী এবং দ্রুত বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিতকল্পে প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন তিনি।
নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানী বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানী এবং পশু জবাইয়ের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত স্থান নির্ধারন করতে হবে৷ স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ এলাকাভিত্তিক পশুর হাট ও পশু কোরবানীর নির্দিষ্ট স্থানের তালিকা জনসাধারণের জ্ঞাতার্থে ব্যাপকভাবে প্রচার করবে।
প্রতারণা রোধে মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের সকল কোরবানী পশুর হাটে জাল টাকা সনাক্তকরণ মেশিন স্থাপন করতে হবে৷ বাংলাদেশ ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এটি বাস্তবায়ন করবে। এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যাংকের সহায়তায় এটিএম বুথ, পয়েন্ট অব সেলস্ মেশিন, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস(এমএফএস) এর মাধ্যমে ক্যাশলেস বা নগদ টাকাবিহীন লেনদেনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আসন্ন ঈদ উল আযহা উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এই প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের মাঠ প্রস্তুতি, কোরবানী পশুরহাট ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ বিবিধ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আলোচনা ও স্বিধান্ত গ্রহণের সুপারিশ প্রদান করা হয়।
সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই প্রেস ব্রিফিংকালে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, গাজীপুর সিটি করপোরেশন মেয়র জায়েদা খাতুনসহ আরও অনেকে।