রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১ টন ওজনের ১১ লক্ষ টাকার ষাঁড় কালুকে কিনলে সাথে খাসি ফ্রি

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এবছর কোরবানীর বাজারে কালু ও চান্দু নামের দুটি ষাঁড়ের মূল্য ১১ লক্ষ ও ৭ লক্ষ টাকা দাবী করছেন স্থানীয় সিদ্দিক মীর নামের এক কৃষক। কালুর ওজন ১ টন এবং চান্দুর ওজন ২২ মন হবে বলছেন তিনি। তাই কুয়াকাটা উপকূলের কোরবানীর গরুর হাটে কালু ও চান্দু সেরা, এমন ধরনা স্থানীয়দের।

উপজেলার লাতাচালী ইউনিয়নের থঞ্জুপাড়া গ্রামে শাহিওয়াল ও হলিস্টিন জাতের
বিশালদেহী ষাঁড় কালু-চান্দুকে দেখতে প্রতিদিন দর্শনার্থী ও ক্রেতারা
আসছেন তার বাড়িতে। ইতো মধ্যে কালুকে কিনলে সাথে একটি খাসি উপহার দেয়ার
ঘোষণাও দিয়েছেন কৃষক সিদ্দিক মীর।

কৃষক সিদ্দিক মীর জানান, ৪ বছর আগে দেশীয় একটি গাভীর সাথে কালুকে ৮০
হাজার টাকা দামে কিনে পালন শুরু করেন তিনি। পরের বছর কপালে চাঁদ নিয়ে
জন্ম নেয়া ষাড় চান্দুকেও লালন পালন শুরু করি। এটিও বিশাল বড় হতে থাকে। এর
পর আমি গরু দুইটির প্রতি যত্ন নেই এবং পশু ডাক্তারদের সাথে নিয়মিত
যোগাযোগ রেখে এদের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে থাকি। সারাক্ষণ মাথার
উপরে ফ্যান চালানো, দৈনিক ২-৩ বার গোসল করানো সহ তাদের সেবা-যত্নে কোন
ঘাটতি রাখা হয়নি। বর্তমানে ওই গাভীটির আরও দুইটি বাচ্চা আছে তাও আমরা
পরিবারের সবাই মিলে দেখা শুনা করি। বড় এই ষাড় দুইটি আলাদা ঘরে রেখে প্রতি
দিন তাজা ঘাস ও ভুট্টা গুড়া খাওয়াই। মাশ আল্লাহ দেখতে দেখতে এরা অনেক বড়
হইছে। আসলে এত বড় হবে তা ভাবতেও পারি নাই। বর্তমানে এদের প্রতিদিন খাবার
লাগে প্রায় হাজার টাকার। এখন পর্যন্ত তিনি এদের জন্য প্রায় দশ লাখ টাকা
খরচ করেছেন বলে জানান।

সিদ্দিক মীর আরও বলেন, আমি কালুকে বিক্রি করে তার সাথে একটি খাসি ফ্রি
দিবো। তবে চান্দুর সাথে কিছু ফ্রি নেই। আমি শখের বসে পালন শুরু করে আজ
সফলতা পেয়েছি। তবে একন কাঙ্খিত দামে বিক্রি করতে পারলে আমি সফল।

আলমগীর হোসেন নামের এক প্রতিবেশী বলেন, আমরা অত্র এলাকায় এ রকম ষাঁড় আর
দেখিনি। গত কয়েক বছরেও এই এলাকায় তৈরি হয়নি। তাই বেশ ভালো লাগছে। অনেক
লোক এগুলোকে দেখতে এসেছে।

কলাপাড়া উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, কৃষক
সিদ্দিকের এই ষাঁড় দুটি উপজেলার মধ্যে অন্যতম। তার পরিশ্রমকে আমরা
সাধুবাদ জানাই। তাকে অনুসরণ করে যারা পশু পালনে আগ্রহী হচ্ছে তাদেরকে
আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো । এবছর উপজেলায় সর্বমোট কোরবানির জন্য
পস্তুুত রাখা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার ৯৮২ টি পশু।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ