রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ বছরে পাল্টে গেলে আমতলী দৃশ্যপট, উন্নয়নের মহাসড়কে আমতলী

আওয়ামীলীগ সরকারের ১৫ বছরের উন্নয়নে পাল্টে গেছে আমতলীর দৃশ্যপট। ভৌগোলিক অবস্থানের কারনে আমতলী এখন দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যমনি। স্বাধীনতার পর থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ৩৮ বছরের উন্নয়ন ছাপিয়ে গেছে ১৫ বছরের উন্নয়নে। এ উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যহত রাখার দাবী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর।

জানাগেছে, স্বাধীনতার পর থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত উল্টে-পাল্টে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি দেশ শাসন করেছে। এ ৩৮ বছরে আমতলীর তেমন উন্নয়ন হয়নি। যতটুকু উন্নয়ন হয়ে তা চোখে পরার মত নয়। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে আমতলীর দৃশ্যপট পাল্টে যায়। শহর থেকে প্রত্যান্ত অঞ্চলে উন্নয়নের ছাপ পড়ে। গত ১৫ বছরে উন্নয়নে পাল্টে গেছে আমতলীর মেঠোপথ। স্থানীয় সরকার উপজেলার ৮০ কিলোমিটার পল্লী উন্নয়ন সড়ক, ১২ টি বৃহৎ সেতু, ৬’শ ১৫ মিটার কালভার্ট, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি যাদু ঘর, স্মৃতিসৌধ, ২ টি অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা গৃহ, ১১৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিক্ষা অবকাঠামো, ৬ হাজার ৫’শ হেক্টর ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, ১০ টি গ্রোথ সেন্টার, হাটবাজার, ১৪ টি সাইক্লোণ সেল্টার, ১৮টি মসজিদ, মন্দির, শ্মশান ও কবরস্থান উন্নয়ন, ২৫ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসুচী ও ইউনিয়ন ভুমি অফিস নির্মাণ করেছে। এছাড়াও ওই দপ্তর ১ হাজার ৪’শ ৮০ জন দুস্থ নারীর আত্মকর্মসংস্থাণ সৃষ্টি, ১’শ ১২ কিলোমিটার খাল ও ১০ টি পুকুর খনন, ৯০ কিলোমিটার সড়ক রক্ষাবেক্ষণ, ২০ কিলোমিটার বৃক্ষরোপন ও পরিচর্যা করেছেন বলে জানান উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্তপক্ষ ১৮ টি ব্রীজ, দুর্যোগ সহনীয় ঘর ২১ টি, বীর নিবাস ২৮ টি, ৬’শ৬৭ টি আবাসন নির্মাণ, কাবিখা-টিআর প্রকল্পে ১’শ ২০ কিলোমিটার মাটির রাস্তা ও এইচবিবি প্রকল্পে সাড়ে ৭ কিলোমিটার হেরিংবন্ড রাস্তা নির্মাণ করেছেন বলে জানান উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ জামাল হুসাইন। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর¿ ৪৮০ টি সিডার যন্ত্র , হার্ভেষ্টার ৭০ টি, পাওয়ার থ্রেসার ৪৪টি, ধান রোপন মেশিন ৩টি , সেচ পাম্প ৮০টি বিতরন ও ৪০ হাজার কৃষকদের পুর্নবাসন করেছেন বলে জানান উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ ঈশা। ১৫ বছরের উন্নয়নে বিগত ৩৮ বছরের উন্নয়ন ছাপিয়ে গেছে। উপজেলার কর্দমাক্ত রাস্তা পাকা সড়কে উন্নীত করনে প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষ অনায়াসে উপজেলা শহরে আসতে পারে বলে জানান প্রান্তিক জনগোষ্ঠি। ২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার পর ভৌগোলিক অবস্থানের কারনে আমতলী দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে গুরুত্বপুর্ণ হয়ে উঠেছে। স্বচ্ছন্দে উপকুলীয় অঞ্চলের মানুষ আমতলী হয়ে সড়ক পথে রাজধানী শহর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যেতে পারছে।

হলদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চিলা গ্রামের ইলিয়াস মিয়া বলেন, গত ১৫ বছরে সড়ক, সেতু ও কালভার্টসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে পাল্টে গেলে আমতলীর দৃশ্যপট। এ উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যহত রাখতে হবে।

কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক বোরহান উদ্দির মাসুম তালুকদার ও আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর গত ১৫ বছরে উন্নয়নের ছোয়ায় পাল্টে গেলে গ্রামীণ জনপথ। প্রতিটি স্তরেই উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে। এ উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যহত রাখতে কাজ করছি।

আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ৩৮ বছরে এতো উন্নয়ন হয়নি যা হয়েছে গত ১৫ বছরে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। এ উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যহত রাখতে হলে আবারো আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আনতে হবে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া উন্নয়ন প্রকল্প যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করেছি বলেই প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে আমতলী উপজেলা শহরের দৃশ্যপট পাল্টে গেছে।

তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রিয় সরকারের দেয়া প্রকল্প স্থানীয় সরকার নিখুতভাবে বাস্তবায়ন করছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ