ইসরায়েলে হামাসের হামলায় অন্তত ছয়শ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে দেশটির প্রেস অফিস জানিয়েছে। এছাড়া অপহরণ করা হয়েছে আরও অন্তত একশো ইসরায়েলিকে।
আর গাজায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হয়েছে কমপক্ষে ৩৭০ জন ফিলিস্তিনি।
সংঘর্ষে ইসরায়েল ২ হাজার দুইশো আর ফিলিস্তিনে দুই হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ইসরায়েলে কয়েকজন আমেরিকান নিহত হবার খবর তারা পেয়েছেন এবং এসব খবরের সত্যতা যাচাই করার কাজ চলছে। এছাড়া গাজা সীমান্তের কাছে কর্মরত ছিলেন এমন একজন ব্রিটিশ নাগরিক এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
শনিবার হামাসের ইসরায়েলে বড় ধরনের আক্রমণ শুরু করে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
এরপর রোববার দিনভর গাজা উপত্যকায় পাল্টা বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, যার অবসানের কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
দেশটির ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে গাজায় হামাসের অবস্থান লক্ষ্য করে আক্রমণ করা হচ্ছে। “ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় আমরা কাজ করে যাবো” বলে তারা ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে হামাস ও ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) নেতার সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্ট কথা বলেছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত মিডিয়া খবর দিয়েছে। তবে ওই দুই নেতার সঙ্গে ইব্রাহিম রাইসির আলোচনার বিষয়বস্তু প্রকাশ করা হয়নি।
হামাস ইরানের সমর্থনপুষ্ট। দেশটি তাদের অর্থ, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করে থাকে।
বোরবার সকালের দিকে হামাসের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক আক্রমণ শুরু করার আগে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের ঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য সতর্ক করে দিয়েছিল ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।
ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় গাজায় বিধ্বস্ত একটি মসজিদ
গাজা উপত্যকার সাতটি ভিন্ন ভিন্ন এলাকার নাগরিকদের নিজেদের ঘর থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। তারা জানিয়েছে যে সেসব এলাকায় হামাসের ঘাঁটি রযেছে, সেখানে নতুন হামলা চালানো হবে।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে হামলার সতর্কতা আসার পর গাজার নাগরিকদের অনেকে এরই মধ্যে তাদের ঘর ছেড়ে জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলোতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বলে বিবিসিকে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
প্রতিশোধের হুমকি দিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার সবশেষ ভিডিও বার্তায় বলেছেন যে তাদের ‘শত্রুকে এর চূড়ান্ত মূল্য দিতে হবে, যা তাদের আগে কখনো দিতে হয়নি।’
এই হামলাকে ‘অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম’ হিসেবে বিবৃত করেছেন হামাসের শীর্ষ কমান্ডার মোহাম্মেদ দেইফ।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন যে, “আমরা শত্রুদের এর আগেই সতর্ক করেছি। তারা শত শত বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছে। তাদের অপরাধের জন্য শত শত মানুষ শহীদ হয়েছে।”