জ্যৈষ্ঠ শেষের দিকে হলেও তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। তাতেও ফুটবল উন্মাদনায় ভাটা পড়েনি। এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশের। ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচটিকে কেন্দ্র করে দেশের ফুটবল সমর্থকদের উত্তেজনা তুঙ্গে। হামজা-সমিত সোমদের মতো তারকারা দলে থাকায় মাঠে বসে খেলা দেখার সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি নন কেউই।
ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়ার পর থেকেই ফুটবলের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ছিল। ঘরের মাঠে জাতীয় দলের ম্যাচেও স্টেডিয়ামের গ্যালারি শূন্য পড়ে থাকত। অথচ ঘরের মাঠে এবার বাংলাদেশের খেলার টিকিট পাওয়াই দায়। সোনার হরিণ টিকিট হাতে পেলেও জনতার ভিড় ঠেলে স্টেডিয়ামে পৌঁছে খেলা দেখার নিশ্চয়তা নেই।
আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচ দেখার জন্য দর্শকরা স্টেডিয়ামের সামনে লাইনে দাঁড়ানো শুরু করেছে দুপুর ২টা থেকেই।
বাফুফের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, দুপুর ২টায় স্টেডিয়ামের গেট খুলে দেয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, টিকিটধারী দর্শকরা যেন জাতীয় স্টেডিয়ামের ৩ নং গেটের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ায়। দৈনিক বাংলা থেকে রাজউক ভবন পর্যন্ত দাঁড়ানোর জন্য দুটি লেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কিন্তু আজ দুপুর গড়ানোর আগেই পল্টন মোড় থেকে শুরু করে স্টেডিয়ামের সবগুলো প্রবেশপথ ফুটবল ভক্তদের দখলে চলে গেছে। ভুটান ম্যাচে ভোগান্তির তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে অনেকেই আজ মাঠে হাজির হয়েছেন বেশ আগেভাগে।
গত ৪ তারিখ ভুটানের পক্ষে ম্যাচে অনেক টিকিটধারী দর্শকও মাঠে প্রবেশ করতে পারেননি। অনেকেই আবার টিকিট ছাড়াই মাঠে ঢোকার চেষ্টা করেছেন। এমনকি স্টেডিয়ামের গেট ভাঙচুরের মতো ঘটনাও ঘটেছে। যে কারণে আজ ম্যাচ চলাকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের বিশেষায়িত বাহিনী সোয়াট মোতায়েন করা হয়েছে।
ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে আসা দর্শকরা টিকিট দেখিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারবেন।