মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রোববার মার্কিন সামরিক বাহিনী খার্তুম থেকে তাদের দূতাবাসের কর্মীদের সরিয়ে নিয়েছে। সুদানী সেনাবাহিনী ও একটি আধাসামরিক গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই কিছুটা শিথিল থাকার পর দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রবেশ করেছে।
সুদানের এই যুদ্ধে শ’ শ’ লোক মারা গেছে ও হাজার হাজার আহত হয়েছে। জীবিতরা বিদ্যুৎ ও খাদ্যাভাব মোকাবিলা করছে।
বাইডেন ওয়াশিংটন সময় শনিবার গভীর রাতে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আজ, আমার নির্দেশে, আমাদের সামরিক বাহিনী খার্তুম থেকে মার্কিন সরকারের দূতাবাসের কর্মীদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে।’ খবর এএফপি’র।
জিবুতি, ইথিওপিয়া ও সৌদি আরব অপারেশনে সহায়তার কথা উল্লেখ করে তিনি পরিষেবা সদস্যদের যারা সফলভাবে তাদের নিরাপত্তায় ফিরিয়ে এনেছেন তাদের অতুলনীয় দক্ষতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস, ভারী সশস্ত্র আধাসামরিক গোষ্ঠী বর্তমানে রাজধানী এবং অন্যত্র নিয়মিত সেনাবাহিনীর কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছে। কয়েক ঘন্টা আগে টুইট করেছে যে, এটি কূটনীতিকদের এবং তাদের পরিবারকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য রোববার সকালে ৬টি বিমান করে মার্কিন বাহিনী মিশনের সাথে কাজ করেছে।’
বিদেশী দেশগুলা বলেছে, তারাও সুদানের প্রধান বিমানবন্দর বন্ধ থাকা সত্ত্বেও তাদের হাজার হাজার নাগরিককে সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার প্রথম ঘোষণার একদিন আগে বিভিন্ন দেশের ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ সৌদি আরবে পৌঁছেছে।
ঈদ-উল-ফিতরের প্রথম দিন শুক্রবার অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির পর খার্তুমে পূর্ণাঙ্গ লড়াই শুরু হলে রাজ্যের নৌ বাহিনী কূটনীতিক এবং আন্তর্জাতিক কর্মকর্তাসহ বেসামরিক নাগরিকদের লোহিত সাগর পার করে পোর্ট সুদান থেকে জেদ্দায় নিয়ে যায়।
মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাসের সমাপ্তির পর সুদানিরা অন্যতম প্রধান ঈদ উৎসব ভয়ে উদাপন করতে পারেনি।
এর আগে শনিবার, সুদানের সেনাবাহিনী বলেছে, তাদের প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান নাগরিক সুবিধা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষে কূটনৈতিক মিশনগুলিকে সরিয়ে নেওয়ার ব্যপারে একাধিক দেশের নেতাদের কাছ থেকে কল পেয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং চীন সামরিক বিমান ব্যবহার করে তাদের নাগরিকদের খার্তুম থেকে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে উল্লেখ করে সেনাবাহিনী বলেছে ‘আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে’ স্থানান্তর শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।