বুধবার, ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সুখবর দিলেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী, অক্টোবরে আসবে ইউরেনিয়াম

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে অক্টোবরের রাশিয়া থেকে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইউরেনিয়াম পাঠানোর কথা জানালেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। ছবি: পিএমও

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই রাশিয়া থেকে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য পারমাণবিক জ্বালানি বা ইউরেনিয়াম পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ বিষয়টি জানান তিনি।

পরে এ নিয়ে গণমাধ্যমে ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার।

সাংবাদিকদের তিনি জানান, ইউরেনিয়াম পরিবহন ও আমদানির আনুষ্ঠানিকতায় ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠকে চলমান যুদ্ধ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত বন্ধের উপায় খুঁজে বের করতে হবে। যুদ্ধের এই পরিস্থিতিতে উন্নয়নশীল দেশগুলো সংকটে পড়েছে বলেও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক ছাড়া আর কী কী পণ্য রাশিয়া আমদানি করতে পারে, সে বিষয়ে দেশটির শীর্ষ পর্যায়ে পর্যালোচনা চলছে বলেও জানান সের্গেই ল্যাভরভ।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আহ্বান জানান রাশিয়ার প্রতি। এ ছাড়া ঢাকা-মস্কোর অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক ইস্যুগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর ধানমন্ডিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রথমবার বাংলাদেশ সফরে আসা রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন তিনি। পরে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখান থেকে রাশিয়ার দূতাবাসে যান ল্যাভরভ।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দুই দিনের সফরে ঢাকা আসার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন তিনি। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ড. একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে ল্যাভরভ ও আব্দুল মোমেনের মধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট নিয়ে আলোচনা হয়।

এ বিষয়ে ল্যাভরভ বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রাখতে আমরা সহযোগিতা বজায় রাখছি।

মিয়ানমারের সঙ্গে রাশিয়া যোগাযোগ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের (বাংলাদেশ-মিয়ানমার) একটি পক্ষের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে বাইরের কয়েকটি দেশ এই ইস্যুটি ব্যবহার করছে। এভাবে তারা দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপও করছে। আমি মনে করি, এটি অগ্রহণযোগ্য, এতে বিরূপ ফলই আসে।

শুক্রবার দুপুরে জি-২০ সম্মেলনে অংশ নিতে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবেন ল্যাভরভ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ