ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
চলন্ত গাড়িতে সিটবেল্ট না পরায় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে জরিমানা করা হয়েছে। গাড়িতে থাকা অবস্থায় সিটবেল্ট খুলে সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য একটি ভিডিও করছিলেন মি. সুনাক।
১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বলা হয়েছে মি. সুনাক এই ঘটনার জন্য ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন এবং তিনি জরিমানার টাকা পরিশোধ করবেন।
চলন্ত গাড়িতে সিটবেল্ট না পরলে একশ পাউন্ড জরিমানার বিধান রয়েছে ব্রিটেনে। এই জরিমানার অংক ৫০০ পাউন্ড পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে যদি ঘটনাটি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
ঋষি সুনাক যখন ল্যাঙ্কাশায়ার ছিলেন তখন গাড়িতে ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছিল। তিনি ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে ভ্রমণ করছিলেন।
এই ভিডিওটি মি. সুনাক তার ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছিলেন।
মি. সুনাক প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় দ্বিতীয়বারের মতো এ ধরণের জরিমানার নোটিস পেলেন।
করোনাভাইরাস মহামারির সময় ২০২০ সালে লকডাউনের নিয়ম ভঙ্গ করার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সাথে ঋষি সুনাককেও জরিমানা করা হয়েছিল।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকে ‘ফিক্সড পেনাল্টি’ দেয়া হয়েছে। জরিমানার টাকা তাকে ২৮ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে নতুবা এটি চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে।
কেউ যদি এই জরিমানাকে চ্যালেঞ্জ করে তখন পুলিশ বিষয়টি পর্যালোচনা করবে
সেক্ষেত্রে তারা জরিমানা প্রত্যাহার করতে পারে কিংবা বিষয়টিকে আদালতেও নিয়ে যেতে পারে।
লেবার পার্টির ডিপুটি লিডার অ্যাঞ্জেলা রায়নার এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, এর ‘পুরো দায় মি. সুনাককে’ নিতে হবে।
লেবার পার্টির একজন মুখপাত্র বলেছেন, দুর্ভাগা ঋষি সুনাকের এই ছবি তাকে হাসির পাত্রে পরিণত করেছে।
লিবারেল ডেমোক্রেটরা বলেছেন, ঋষি সুনাক হচ্ছেন ব্রিটেনের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী যাকে পুলিশ জরিমানা করেছে। বরিস জনসন যেভাবে আইনকে অসম্মান করেছিলেন ঠিক একই কাজ করলেন ঋষি সুনাক।
লিবারেল ডেমোক্রেটদের ডেপুটি লিডার ডেইজি কুপার বলেন, “পার্টি কেলেঙ্কারি থেকে সিটবেল্ট কেলেঙ্কারি, কনজারভেটিভ পার্টির রাজনীতিবিদরা ব্রিটেনের মানুষজনকে বোকা বানাচ্ছে।”
“তারা এমনভাবে আচরণ করছে যাতে মনে হয় তাদের জন্য আইন এক রকম এবং বাকিদের জন্য অন্যরকম। এই জরিমানার মাধ্যমে তাদের প্রাপ্য ছিল।”
কিন্তু কনজারভেটিভ পার্টির এমপি স্কট বেন্টন বলেছেন, সবাই ভুল করে।
মি. বেন্টন বলেন, “পুলিশের উচিত আমাদের সমাজে গুরুতর অপরাধগুলোর দিকে মনোযোগ দেয়া।”
“ প্রতিবছর ব্রিটেনের লক্ষ-লক্ষ মানুষ এ ধরনের জরিমানার মুখে পড়ে।”
যে কোন ব্যক্তিগত গাড়ি, ভ্যান এবং পণ্য পরিবহনকারী গাড়িতে ১৪ বছর কিংবা তার চেয়ে বেশি বয়সীদের সিটবেল্ট পড়া বাধ্যতামূলক।
আর ১৪ বছরের কম বয়সীদের সিটবেল্ট পড়ার জন্য ড্রাইভারের উপর দায় থাকে। সূত্র : বিবিসি বাংলা।