কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হয়েছে ইরান ও সৌদি আরব। চীনের রাজধানী বেইজিং-এ দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছে। এতে ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক আবারও জোরা লাগাতে একমত হয়েছে দুই দেশ। দীর্ঘ সাত বছর ধরে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন ছিল দুই দেশের মধ্যে। একাধিক ইস্যুতে দ্বন্দ্বও প্রকট হচ্ছিল মধ্যপ্রাচ্যে। অবশেষে শান্তির পথে এক ধাপ এগিয়ে এলো দেশ দুটি।
সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি ইরানি গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে প্রচারিত হচ্ছে। তবে সৌদি গণমাধ্যমগুলো এখনও এ বিষয়ে চুপ রয়েছে। যদিও দুই দেশই সম্পর্ক পুণস্থাপনের বিষয়টি নিশ্চিত করে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে বলে জানিয়েছে প্রেস টিভি। সমঝোতায় মধ্যস্ততা করেছে চীন। দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ওয়েং ওয়েই এতে স্বাক্ষর করেছেন।
গত কয়েক দিন ধরেই এই সমঝোতা নিয়ে ভীষণ দর কষাকষি চলছিল। এতে অংশ নিয়েছিলেন ইরানের ‘সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল’-এর প্রধান আলী শামখানি এবং তার সৌদি সমকক্ষ। বেইজিংয়ে দুই পক্ষের প্রতিনিধিদের মধ্যে গত ৬ মার্চ থেকে দীর্ঘ আলোচনা চলে। এরপরই দুই দেশ সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে আগামী ৬০ দিনের মধ্যেই দুই দেশের মধ্যে আবারও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হবে। রিয়াদে চালু হবে ইরানি দূতাবাস এবং তেহরানে চালু হবে সৌদি দূতাবাস।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর বক্তৃতায় শামখানি বলেন, দুই দেশের মধ্যকার আলোচনা ছিল ‘অকপট, স্বচ্ছ, বিস্তর’। ভুল বোঝাবুঝি দূর করা এবং তেহরান-রিয়াদ সম্পর্ক স্থাপন আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি এটি মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে এবং পারস্য উপসাগরের দেশগুলোসহ গোটা ইসলামী বিশ্বের মধ্যে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহযোগিতা করবে।
দুই দেশের মধ্যে যেসব ইস্যু নিয়ে দ্বন্দ্ব লেগে ছিল তা নিয়েও সমাধানে পৌঁছানোর বিষয়ে একমত হয়েছে সৌদি আরব ও ইরান। এর আগে ২০১৬ সালে শিয়া ধর্মগুরু শেখ নিমর আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে সৌদি আরব। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে সে সময় তেহরানে থাকা সৌদি দূতাবাসে হামলা চালায় ইরানিরা। এরপরই দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্ক ছিন্ন হয়।