শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সাত ঘণ্টা ঘুরে একই জায়গায় ফিরে এল বিমান!

জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে ফুকুওকার দূরত্ব ১ হাজার কিলোমিটারের কিছু বেশি। বিমানে যেতে সময় লাগে ২ ঘণ্টা। অথচ, এই যাত্রাই জাপানের ৩৩৫ জন যাত্রীর কাছে ৭ ঘণ্টার ভোগান্তিতে পরিণত হলো। মাত্র ১০ মিনিট দেরির জন্য ফুকুওকাতে নামতে দেয়া হল না জাপান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানকে। বাধ্য হয়ে সেটিকে ফিরে আসতে হয় টোকিওতে।

টোকিওর হানেদা বিমানবন্দর। ছবি: সংগৃহীত

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় টোকিওর হানেদা বিমানবন্দর থেকে ফুকুওকা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার কথা ছিল জাপান এয়ারলাইনস কোম্পানির ফ্লাইট জেএল৩৩১-এর। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে বিমান বদল করতে গিয়ে প্রায় ৯০ মিনিট দেরি হয় টেকঅফে। পরে বিমানটি রওনা দেয় রাত ৮টায়। এদিকে ফুকুওকা বিমান বন্দরে রাত ১০টার পরে আর কোনো বাণিজ্যিক বিমান অবতরণের অনুমতি দেয়া হয় না।

বিমানবন্দরের আশেপাশে বসবাসকারীদের যাতে বিরক্তির উদ্রেক না হয়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা। বিমানটি ওড়ার সময় মনে করা হয়েছিল হাতে ৪ মিনিট সময় রেখেই সেটি ফুকুওকায় নামতে পারবে। কিন্তু, ফুকুওকার কাছাকাছি আসার সঙ্গে সঙ্গে পাইলটরা বুঝতে পেরেছিলেন, রাত ১০টার মধ্যে ফুকুওকাতে বিমানটির অবতরণ করা সম্ভব নয়।

অবশ্য ফুকুওকার এই রাত ১০টার নিয়মের কিছু ব্যতিক্রম আছে। খারাপ আবহাওয়া এবং অন্যান্য অনিবার্য কারণে বিমান উড়তে দেরি হলে তা বিবেচনা করে সময়সীমা বাড়ানো হয়। হানেদাতে প্রবল বাতাসের কারণে অনেক বিমানেরই উড়তে দেরি হয়েছিল। তাই সেগুলোকে রাত ১০টার পরও অবতরণ করার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু, জেএল৩৩১-এর ক্ষেত্রে সেই অনুমতি দেয়া হয়নি। কারণ, ফুকুওকা বিমানবন্দরের কর্মকর্তাদের মতে, এই বিমানটির ক্ষেত্রে দেরি হওয়াটা ‘অনিবার্য’ ছিল না।

এরপর বিমানটি নিকটবর্তী শহর কিটাকিউশুতে অবতরণের পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু, ৩৩৫ জন যাত্রীকে নিয়ে যাওয়ার মতো কোনো বাস না থাকায় সেই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়। শেষ পর্যন্ত, ওসাকার কাছে কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাত ১০টা বেজে ৫৯ মিনিটে বিমানটি অবতরণ করে। কিন্তু, সেখানেও যাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার মতো পর্যাপ্ত বাস ছিল না, ছিল না হোটেলে থাকার মতো ব্যবস্থাও। ফলে ফের বিমানটি ওড়ে এবং সব মিলিয়ে প্রায় সাত ঘণ্টা পর হানেদা বিমানবন্দরে ফিরে আসে।

এরপর এয়ারলাইনসের পক্ষ থেকেই যাত্রীদের একটি হোটেলে রাখা হয়েছিল। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে যাত্রীদের ফুকুওকা উড়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ