রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সাংবাদিকদের উপর বিএনপি-জামায়াতের হামলা

শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ডাক দিয়ে রাজধানীতে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা। পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ, সাংবাদিকদের ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি ও জামায়াতের বিরুদ্ধে। তাদের হামলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর ৪১ সদস্যসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

ঘোষণা ছিল শান্তিপূর্ণ সমাবেশের। লোক সমাগম হওয়ার কথা শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর দুইটা থেকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের হাতে ছিল লাঠি। কাকরাইল মোড়ে শুরু করেন গাড়ি ভাঙচুর।

একটি বাস ও কয়েকটি পিকআপে করে আসা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা কাকরাইলে নেমে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার সময় বিএনপির সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে বিএনপি নেতাকর্মীরা গাড়ি ভাঙচুর শুরু করেন।

এক পর্যায়ে কাকরাইল এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। আগুন দেয়া হয় পুলিশ বক্সে। এমনকি এ সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ঢিল ছুঁড়তে দেখা যায় বিএনপি নেতাকর্মীদের। বাদ যায়নি গণমাধ্যমের গাড়িও। সময় টিভির গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়া হয়।

সাংবাদিকরা ছিল বিএনপি-জামায়াতের হামলার প্রধান শিকার। আহত সাংবাদিকরা হলেন: নিউ এইজের আহমেদ ফয়েজ, বাংলা ট্রিবিউনের প্রধান প্রতিবেদক সালমান তারেক শাকিল, ফটো সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন ও নিজস্ব প্রতিবেদক জোবায়ের আহমেদ, দৈনিক কালবেলার প্রতিবেদক রাফসান জানি, আবু সালেহ মুসা, রবিউল ইসলাম রুবেল এবং তৌহিদুল ইসলাম তারেক, ঢাকা টাইমসের প্রতিবেদক সালেকিন তারিন, ব্রেকিং নিউজের ক্রাইম রিপোর্টার কাজী ইহসান বিন দিদার, দৈনিক ইনকিলাবের ফটোসাংবাদিক এফ এ মাসুম, দৈনিক ইত্তেফাকের মাল্টিমিডিয়ার রিপোর্টার তানভীর আহাম্মেদ, একুশে টিভির রিপোর্টার তৌহিদুর রহমান ও ক্যামেরা পারসন আরিফুর রহমান, দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার সাংবাদিক আরিফুর রহমান রাব্বি, ইত্তেফাকের সাংবাদিক শেখ নাছের ও ফ্রিল্যান্সার মারুফ, ভোরের কাগজের ফটো সাংবাদিক মো. মাসুদ পারভেজ আনিস, নুরুজ্জামান শাহাদাৎ ও ক্যামেরাপার্সন আরিফুল ইসলাম পনিও হামলার শিকার হয়েছেন।

রাফসানের সঙ্গে থাকা কালবেলার জ্যৈষ্ঠ প্রতিবেদক রাজন ভট্টাচার্য জানান, কাকরাইল মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্য় চলাকালে ভিডিও ফুটেজ নিচ্ছিলেন সাংবাদিক রাফসান জানি। পুলিশের ওপর হামলার এই ফুটেজ সংগ্রহকালে বিএনপির কর্মীরা রাফসানের ওপর হামলা চালায়।

তিনি আরও বলেন, এ সময় রাফসানের গলায় কালবেলার আইডিকার্ড ঝুলানো থাকলেও তাকে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়। হামলায় তার সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। এছাড়া তার মোবাইল ফোনটিও ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। অনেকের অবস্থা গুরুতর।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ