বাংলার মাঠে মাঠে এই শীতে প্রকৃতি বিছিয়েছে হলুদ গালিচা। জেলা শহরের অট্টালিকার ভীড় ছেড়ে কোনো দিকে একটু বেড়িয়ে পড়লেই চোখে পড়বে প্রকৃতির এই অপূর্ব দৃশ্য
যে দিকেই চোখ যাবে শুধুই হলুদ আর হলুদ। গ্রাম-বাংলার চারপাশ এখন সরিষা ক্ষেতের হলুদ চাদরে ঢাকা।
যেদিকেই চোখ যায় শুধু হলুদ আর শুধুই সরিষা ক্ষেত। প্রকৃতির নির্মল বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে সরিষা ফুলের মাতাল করা ঘ্রাণ। তাইতো প্রতিনিয়ত দর্শনার্থী ভিড়ে যেন মিলনমেলায় পরিণত হয় গোপালগঞ্জের গ্রাম অঞ্চলের সরিষা ক্ষেত গুলো।
জেলা শহরের খুব কাছেই সরিষা ফুলের স্বর্গরাজ্য বিজয়পাশা চন্দ্রদিঘলিয়া,সুকতইল,গোপিনাথপুর সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামে সরিষা ফুলে ছেয়ে আছে এখন। দেখলেই মনে হবে এজন্য কোন গল্পের স্বর্গরাজ্য।
ফুল আর বীজের বাম্পার ফলনের কারণে এখানকার সরিষা ক্ষেতে বসেছে মৌচাষিরা। প্রতিনিয়ত মধু সংরক্ষণ করে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হচ্ছে এখানকার মৌ চাষীরা।
তাদের সংগ্রহীত মধু জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকা সহ ইউটিউব ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চলে যাচ্ছে কয়েকটি দেশে।
সরিষা ক্ষেতে ভ্রমণের সঙ্গে এখানে তাই দেখতে পাবেন সরিষা ক্ষেতে মধু চাষের কৌশলও। এছাড়াও গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানা ও কাশিয়ানী থানার বেশ কিছু অঞ্চলে বাম্পার ফলন হয়েছে এ দৃষ্টিনন্দন মৌসুমী ফুল সরিষার,আছে প্রচুর সরিষা ক্ষেতও। এছাড়াও ঢাকা খুলনা মহাসড়কে গোপালগঞ্জ সদরের হরিদাসপুর ব্রিজ পার হওয়ার পর থেকেই সেখানে সড়কের দুইপাশে পাওয়া যাবে বিস্তীর্ণ সরিষা ক্ষেত। এছাড়াও জেলার প্রায় সব গ্রাম গুলাতেই এখন আছে সরিষা ফুলের রাজ্য।
সেখান থেকে আরেকটু দূরে গেলে গোপালগঞ্জ মাওয়া মহাসড়কে দুই পাশের এলাকায়ও আছে প্রচুর সরিষা ক্ষেত। যা দেখলে যেকোন মানুষেরই দৃষ্টি জুরিয়ে যাবে।
পদ্মা সেতু হওয়ার সুফলে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের দূরত্ব সড়কপথে এখন মাত্র দুই ঘন্টার, তাই যেকোনো দর্শনার্থী রাজধানী ঢাকা থেকে খুব সকালে গিয়ে সারাদিন বেড়িয়ে সন্ধ্যার মধ্যেই ফিরে আসতে পারেন এই দৃষ্টিনন্দন সরিষা ফুলের স্বর্গরাজ্য থেকে।