বাংলাদেশের স্বাধীনতার দুই বছর পর, ১৯৭৩ সালের ৭ই এপ্রিল জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতার পরে একটি গণপরিষদ গঠন করা হয়েছিল, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়। এরপর ১৯৭৩ সালের মার্চ মাসে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদের যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ৫০ বছর পূর্ণ করেছে। গত পঞ্চাশ বছরের বিশ্লেষণ করে অনেকের মনে এই প্রশ্ন উঠেছে যে আইনসভাটির ক্ষমতা কতটুকু কার্যকর ছিল?
তত্ত্বগতভাবে বাংলাদেশের আইনসভা ও নির্বাহী বিভাগ যথাযথভাবে কাজ করলেও বাস্তবে তার উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে বলে অনেকে মনে করেন।
অনেকে মনে করেন, সংসদের তুলনায় নির্বাহী বিভাগ বা সরকার বেশি ক্ষমতার অধিকারী হচ্ছে আর সংসদ বরাবরই দুর্বল থেকে যাচ্ছে। অথচ এ দুটো বিভাগের মধ্যে ভারসাম্য থাকার কথা ছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক গোবিন্দ চক্রবর্তী বিবিসি বাংলাকে বলেন, সংসদের অর্জনও যেমন আছে, তেমনি সংসদ কিছু সংস্কৃতি তৈরি করেছে যার কারণে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া সম্ভব হয়নি।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মতামত দেখা দেখা। যারা ক্ষমতায় থাকে তারা সবসময় বলে যে সংসদ বেশ ‘কার্যকর’, অন্যদিকে বিরোধী দল মনে করে সংসদ ‘অকার্যকর’।
এই ‘কার্যকর’ কিংবা ‘অকার্যকর’ বিষয়টি নির্ভর করে ক্ষমতায় থাকা এবং না থাকার উপর।
বিরোধী দল মনে করে সংসদ এবং সরকার মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। অথচ এ দুটো প্রতিষ্ঠান স্বতন্ত্রভাবে কাজ করার কথা।
বিরোধীদল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন , একটি রাষ্ট্রের আইনসভা এবং নির্বাহী বিভাগ আলাদাভাবে দায়িত্ব পালনের রীতি থাকলেও বাংলাদেশে বর্তমানে এগুলো এক হয়ে গেছে।
মি. আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “রাষ্ট্রের বিভাগগুলো যখন একীভূত হয়ে যায় বা সবগুলোই একজন ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে থাকে তখন রাষ্ট্র ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে।
আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক অবশ্য বলছেন, সংবিধান অনুযায়ী সংসদের যে দায়িত্ব আছে তা ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ অনুসরণ করছে। এছাড়া পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটি রয়েছে যারা সংসদ ও সরকারের মধ্যে পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করে এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে।
“তাহলে কিভাবে কাজ করছে না আমি জানি না,” বলেন মি. রাজ্জাক।
জাতীয় সংসদের ক্ষমতা কেন বরাবর দুর্বল থেকেছে-এমন প্রশ্নে রাজনীতি সংশ্লিষ্টরা বিভিন্ন কারণ ব্যাখ্যা করেন।
১৯৭৩ সালের ৭ই এপ্রিল ঢাকার তেজগাঁওয়ের তৎকালীন সংসদ ভবনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থায় আইনসভায় নির্বাহী বিভাগের পাশাপাশি থাকে বিরোধীদল। বিরোধীদলের দায়িত্ব হচ্ছে, ট্রেজারি বেঞ্চ বা ক্ষমতাসীন দলের কার্যক্রমের উপর নজর রাখা এবং তাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি তুলে ধরা।
এটি সংসদের ক্ষমতাকে সমুন্নত রাখে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
রাজনীতি বিশ্লেষক অধ্যাপক রওনক জাহান বিবিসি বাংলাকে বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে শক্তিশালী কোন বিরোধীদল নেই। ফলে তাদের যে কাজ অর্থাৎ পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন দল বা সরকারের উপর নজরদারি করা সেটা হচ্ছে না।
এজন্যই সংসদে ক্ষমতার ভারসাম্য করা সম্ভব হয় না।
রওনক জাহান বলেন, ‘৯১ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বাংলাদেশে ভালই বিরোধীদল ছিল। কিন্তু তারা পার্লামেন্টে তাদের দায়িত্ব পালন না করে বরং রাস্তায় গিয়ে বেশিরভাগ সময় আন্দোলন করেছে।
বিরোধীদলগুলো সবসময় তাদের দাবি আদায়ের জন্য সংসদের চেয়ে রাজপথকেই বেশি পছন্দ করেছে।
রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের পর যখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়, তখন এদেশের সংসদীয় সংস্কৃতিতে আরো বেশ কয়েকটি বিষয় সংযুক্ত হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বয়কট সংস্কৃতি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক গোবিন্দ চক্রবর্তী বলেন, ৯১-৯৬ পর্বে বয়কট ছিল। ৯৬-২০০১ পর্বেও বয়কট ছিল।
২০০৬ সালে একদল আরেকদলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় গড়িমসি করার বিষয়টি দেখা গেছে। সব কিছু মিলিয়ে সংসদকে সব কিছুর কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে তৈরি করা সম্ভব হয়নি বলে মনে করেন তিনি।
“শক্তিশালী বিরোধীদলের উপস্থিতি যখন ছিল, তখন আমরা লক্ষ্য করেছি বয়কট কালচার। আর যখন শক্তিশালী বিরোধীদলের অনুপস্থিতি লক্ষ্য করেছি তখন সেটা হয়ে গেছে এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চ বা প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রিক,” বলেন অধ্যাপক চক্রবর্তী।
দুই হাজার চৌদ্দ সাল থেকে সংসদে অভাবনীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সংসদে বিরোধী দলের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
“আওয়ামীলীগ বা বিএনপি, এখানে দুই দলেরই দায়িত্ব আছে। কারণ দু’দলই বিরোধীদল ছিল। এবং বিরোধীদল যারা যখন ছিল, তারা কখনো পার্লামেন্টকে কার্যকর করার জন্য, বিরোধীদল হিসেবে নজরদারি করার দায়িত্ব পালন করে নাই। আর এখন তো আর বিরোধী দলই নাই,” বলেন অধ্যাপক রওনক জাহান।
১৯৭৩ সালের নির্বাচনের পর প্রথম যে সংসদ গঠিত হয়েছিল সেখানেও আওয়ামী লীগেরই আধিপত্য ছিল। এছাড়া সামরিক সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখনও তাদেরই আধিপত্য ছিল। এর ধারাবাহিকতায় যখনই যে দল ক্ষমতায় এসেছে পার্লামেন্টে তখন সে দলেরই আধিপত্য থেকেছে।
ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন মনে করেন, রাজনীতিতে যে দ্বি-দলীয় আধিপত্যের বিষয়টি আছে সেটা অনেক সময় ক্ষতির কারণ হয়ে যাচ্ছে। কারণ এখানে ভিন্ন মতের সন্নিবেশ থাকছে না। সংসদে সংখ্যালঘূদের প্রতিনিধিত্ব থাকলে ভারসাম্যটা থাকতো বলে মনে করেন তিনি।
“ব্রিটিশ পার্লামেন্টে যেমন একটা ব্যালেন্স জায়গা থাকে, অন্যান্য দেশের পার্লামেন্টে যে ব্যালেন্স জায়গা থাকে, এখানে ওই ইমব্যালেন্সের জায়গাটা আছে,” বলেন তিনি।
বাংলাদেশে শক্তিশালী বিরোধীদল নেই স্বীকার করে আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পার্লামেন্টে শক্ত বিরোধী দল দরকার। পার্লামেন্টে বিরোধীদল কাঁচির দুই ধারের মতো। কাঁচির শুধু এক ধার দিয়ে যেমন কাপড় কাটে না, তেমনি বিরোধীদল ছাড়া পার্লামেন্ট চলে না।
তবে বিরোধীদল না থাকার একমাত্র কারণ হিসেবে বিএনপির নির্বাচনে না আসাকেই দায়ী করেন মি. রাজ্জাক।
“বিএনপি ক্ষমতায় আসে নাই, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নাই। এসব কারণে ভাল বিরোধীদল নেই। সেই সমস্যা আছে। সেটা যথার্থই। এটা আসা করি নেক্সট ইলেকশনে হবে আরকি। তারা যদি সঠিকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে হবে।”
তিনি বলেন, সুন্দর, সুষ্ঠ, স্বচ্ছ নির্বাচন যদি হয়, সেই নির্বাচনের মাধ্যমে পার্লামেন্টে যেকোন বিরোধীদলই আসুক তারা যদি শক্ত ভূমিকা রাখে তাহলে পার্লামেন্ট আরো বেশি কার্যকর হবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বরাবরই বিতর্ক থেকেই গেছে। ২০০৮ সালের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ছিল বলে উল্লেখ করা হলেও এরপরে যে দুটি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তার প্রত্যেকটির বৈধতা নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এছাড়া এই দুটি সংসদ নির্বাচনে শতাধিক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা ছাড়াই প্রার্থী নির্বাচনের ঘটনা দেখা গেছে যা নিয়েও বিতর্ক ছিল।
বাংলাদেশের প্রধান বিরোধীদল গত দুই বারের নির্বাচনে নানা ধরণের অনিয়মের অভিযোগ এনেছে এবং তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।
গোবিন্দ চক্রবর্তী বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কারণে ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৫৪টিতে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় সাংসদরা মনোনীতি হয়েছে। এই ধারা সংসদে একক দলের আধিপত্য দিয়েছে যা পক্ষান্তরে সংসদের ক্ষমতাকে অকার্যকর করেছে।
২০১৮ সালের নির্বাচনে ত্রুটি বিচ্যুতির অভিযোগ থাকলেও সাতটি আসন নিয়ে সংসদে গিয়েছে বিএনপি। তবে তাদের এই উপস্থিতি আসলে সংসদে খুব একটা প্রভাবশালী ছিল না।
নির্বাচনে কেন বড় দলগুলো অংশ নিচ্ছে না, সেটির বিষয়ে দুই দলকেই আত্মসমালোচনা করা দরকার উল্লেখ করে মি. চক্রবর্তী বলেন, তাদের সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার যে তারা আসলে দেশে গণতন্ত্র চায় কিনা বা সংসদীয় ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে চায় কিনা।
যদিও সামনে যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আসছে সেটিও তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে না হলে তাতে অংশ না নেয়ার ঘোষণায় এখনো অটল থাকার কথা বলছে বিএনপি।
সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সংসদের নেতা হন প্রধানমন্ত্রী। আর যিনি প্রধানমন্ত্রী হন তিনি হয়ে থাকেন নির্বাহী বিভাগের বা শাসন বিভাগের প্রধান। একই সাথে তিনি তার দলীয় প্রধানও।
ফলে তার যদি শাসন করার জন্য কোন আইন প্রণয়নের দরকার হয়, তখন তিনি সংসদে বা আইনসভায় গিয়ে সেটি তার দলের সাহায্যে করিয়ে নিয়ে আসতে পারেন। কারণ বাংলাদেশের সংসদে সাধারণত ক্ষমতাসীন দলের আধিপত্য থাকে।
এটিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ‘ইনার ফল্ট’ বা অভ্যন্তরীণ ত্রুটি বলেন।
“এটাকে অনেক সময় বলতে পারেন অন্তর্গত একটা ফল্ট,” বলেন মি. চক্রবর্তী।
অন্তর্গত এই ত্রুটির কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির প্রেসিডেন্ট এবং একাধিকবারের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে যেহেতু একদলীয় আধিপত্য থাকছে, এবং একদলের প্রধান যিনি তিনিই প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ফলে তার যে ব্যক্তিগত কর্তৃত্ব সেটা অনেক বেশি কুক্ষিগত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপি বা আওয়ামীলীগ যেই ক্ষমতায় আসুক না কেন, ক্ষমতায় থাকার সময় সবাই একক ভাবে ক্ষমতাসীন থেকেছে পার্লামেন্টের মধ্যে। এসব দলগুলোতে দলীয় প্রধানই প্রধানমন্ত্রী। ফলে দলগতভাবে ও সংসদগতভাবে তার কর্তৃত্ত্ব বেশিই থাকে।
এছাড়া বাংলাদেশের সংসদের ৭০ বিধিও একটি নেতিবাচক দিক বলেও মনে করেন রাজনীতি সংশ্লিষ্টরা।
এর অধীনে, দলীয় আইন বা ট্রেজারি বেঞ্চ যদি কোন আইন পাসের চেষ্টা করে আর সেটি যদি রাষ্ট্রের স্বার্থ বা জনস্বার্থের বিরুদ্ধেও যায় তাহলেও সংসদ সদস্যরা তার বিরুদ্ধে যেতে পারেন না।
এই বিধিটির কথা উল্লেখ করেন ক্ষমতাসীন সরকারের কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকও। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংসদের একটাই মাত্র নেতিবাচক দিক আছে, আর সেটি হচ্ছে সংবিধানের ৭০ বিধি। এই বিধিতে বলা হয়েছে যে, সংসদ সদস্যরা ট্রেজারি বেঞ্চের বিরুদ্ধে কোন মতামত বা ভোট দিতে পারবে না- এটি বাংলাদেশ সংসদের একটি নেতিবাচক দিক।
সামরিক শাসন
বাংলাদেশ বিভিন্ন সময় সামরিক শাসনের আওতায় ছিল। সামরিক শাসন গণতন্ত্র তথা সংসদীয় ক্ষমতা ব্যাহত করার অন্যতম কারণ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সামরিক শাসনের সময় শাসকেরা এক ধরণের মূল্যবোধ তৈরির চেষ্টা করেছে যার আওতায় রাজনীতিকে ‘পদ-পদবী ভিত্তিক’ করে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ- এই দুই সরকারের আমলেই এটা হয়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গোবিন্দ চক্রবর্তী বলেন, সামরিক শাসনের সময় একটি বিষয় রাজনীতিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। আর সেটি হচ্ছে রাজনীতিতে টাকার প্রবেশ।
তিনি বলেন, সামরিক শাসকেরাও একটা সময় পরে গিয়ে বেসামরিক রাজনীতি করার চেষ্টা করেছেন। এর অংশ হিসেবে তারা নেতা কেনাবেচা করা, ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার মতো পদক্ষেপ নিয়েছেন।
গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হওয়ার পেছনে অন্যতম দায়ী শক্তি হিসেবে এই দুই দফা সামরিক শাসনকে দায়ী করেন তিনি।
কারণ তারা প্রায় দেড় যুগ ধরে ক্ষমতায় থাকার কারণে রাজনীতিতে যে অর্থের সংস্কৃতি তৈরি করেছেন তা এখনো চলছে উল্লেখ করে মি. চক্রবর্তী বলেন, ১৯৯১ সালের পর থেকে যতগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং এগুলোতে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের অন্তত ৫০ শতাংশই ব্যবসায়ী। সূত্র : বিবিসি বাংলা।