পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আলোচিত হাইব্রীড আ’লীগ নেতা সাগর মৃধা’র বিবাহিত পুত্র মো. মিরাজ হোসেন সদ্য ঘোষিত জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ পাওয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কেউ কেউ বলছেন মন্ত্রনালয়ের সচিব, উপ-সচিব পরিচয়ে প্রতারনার অভিযোগে দেশব্যাপী আলোচিত সাগর মৃধা যেভাবে উপজেলা আ’লীগের পদ বাগিয়েছেন পুত্রও তেমনি জেলা ছাত্রলীগের পদ বাগিয়ে নিয়েছেন।
এদিকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের দ্বিতীয় ভাগে ধারা ২৩ বিবিধ: এর (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিবাহিতরা ছাত্রলীগের কোন পদে থাকতে না পারার কথাটি লেখা থাকলেও, কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। তাই ছাত্রলীগের একাধিক নেতা-কর্মীর দাবী সদ্য ঘোষিত জেলা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে যাতে কোন ধরনের সমালোচনা, বিতর্ক না হয় এজন্য জরুরী ভাবে এ বিষয়টি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দেখা উচিত।
উপজেলার চম্পাপুর ইউপি’র ইউপি সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন জানান, চম্পাপুর
ইউনিয়নের পাটুয়া গ্রামের মো. সাগর মৃধার ছেলে মো. মিরাজ হোসেন একই ইউনিয়নের মো. দুলাল গাজীর মেয়ে মোসা: নিলা বেগমকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করে এবং পরে পারিবারিক আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়।
প্রসংগত, গত ৯ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের কমিটি আগামী এক বছরের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে মো. মিরাজ হোসেন’র নাম থাকায় জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগের অনেকেই বিস্মিত হন