শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সচিবালয়ে না,’নিকার’ সভা হবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালেয়

বিশেষ প্রতিনিধি

আগামী রোববার (২৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সচিবালয়ে আসছেন না। তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যলেয় এদিন প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির(নিকার) অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় নতুন দুইটি পদ্মা ও মেঘনা বিভাগের অনুমোদন দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্ত্রিপিরষদ বিভাগের একজন দায়িত্বশীর কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজফ্ল্যাশ ২৪ বিডি ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালেয়র একজন কর্মকর্তা জানিয়েছন আগামী রোববার (২৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর নিকার সভার স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। এই সভা বাংলাদেশ সচিবালেয় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও শেষমেষ ভেন্যুটি (স্থান) পিরবর্তন করা হয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত নিকার এর এ সভা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালেয় অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও ওই দিন মন্ত্রিসভার বৈঠক ও সচিবসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী।

গত বছর ২৮ আগষ্ট পরিকল্পনা কমিশনে সচিবসভা শেরে বাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। ওই সময়ে করোনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালী গণভবন থেকে সচিব সভায় যুক্ত হয়েছিলেন। এবার তিনি সশরীরে সচিবসভায় উপস্থিত থাকছেন। তবে সভায় অংশগ্রহণকারী এবং সভা সংশ্লিষ্টদের ৪৮ ঘন্টা আগ করোনা টেষ্টের রিপোর্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দিতে বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হািসনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য ১১৮তম নিকার সভায় ৬টি আলোচ্য সূচী রয়েছে।

‘পদ্মা’ প্রশাসনিক বিভাগ সৃজন ও ‘মেঘনা’ প্রশাসনিক বিভাগ সৃজন প্রস্তাব আলোচ্যসূচীর শুরুতেই রয়েছে। ফরিদপুরের আশপাশের কয়েকটি জেলা নিয়ে পদ্মা বিভাগ ও কুমিল্লার আশেপাশের কয়েকটি জেলা নিয়ে নতুন বিভাগ হচ্ছে। এই নতুন দুইটি বিভাগ অনুমোদনের মধ্য দিয়ে দেশে বিভাগের সংখ্যা হবে ১০টি। সাতক্ষীরা জেলায় শ্যামনগর উপজেলায় পৌরসভা গঠন, ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল পৌরসভার সীমানা সম্প্রসারণসহ ৬টি প্রস্তাব অনুমোদন পারে নিকার সভা।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে,সচিব সভায় করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী সচিবদের দিকনির্দেশনা দেবেন। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষণে যে খাদ্য সংকটের পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে, এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় এই বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী সচিবদের বিশেষভাবে নির্দেশনা দিতে পারেন। একই সঙ্গে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে করণীয় সম্পর্কেও প্রধানমন্ত্রী সচিবদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

এ ছাড়া সরকারি কাজে আর্থিক বিধিবিধান অনুসরণ করা, নতুন করে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, সরকারি সেবা দিতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ক পরিকল্পনা, পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতি, ভূমিকম্প, অগ্নিকাণ্ড, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি বিষয়ে পর্যালোচনা, কৃষির উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে সারের জোগান নিশ্চিত করা, পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসতে করণীয় ঠিক করা এবং সুশাসন ও শুদ্ধাচার নিয়ে সভায় আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ