বৃহস্পতিবার, ৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শেখ হাসিনার বক্তব্যকে ছাত্র-জনতা ভালোভাবে নেননি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক কার্যকলাপ থেকে বিরত না রাখায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে ডেকে আবারও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানাান তিনি।

ররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ভারতকে লিখিতভাবে অনুরোধ করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে বিবৃতি না দেয়ার জন্য। তার মিথ্যা বক্তব্য বাংলাদেশে প্রভাব পড়েছে। শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্য ছিল আক্রমণাত্মক। আমরা দেখব তিনি আগামীতে কেমন বক্তব্য দেন। সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

ধানমন্ডি-৩২ ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলব। ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি প্রতিহতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শেখ হাসিনার বক্তব্য বিবৃতিকে ছাত্র-জনতা ভালোভাবে নেননি। তিনি যদি এমন কাজ থেকে বিরত থাকতেন তাহলে এ ধরনের কাজ হবে না বলে আমাদের বিশ্বাস। এই কাজের বিস্তার যেন আর না হয় প্রশাসন সেই কাজ কিন্তু করছে।’

গত ছয় মাসে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘ কিন্তু এখন আমরা দ্বিপাক্ষিক সমঝোতামূলক সম্পর্ক তৈরি করতে পেরেছি। পরিবর্তনের সাইডইফেক্ট আমরা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। আর চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সঠিক পথেই আগাচ্ছে।’

এছাড়া, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এপ্রিলে আসবেন সম্ভবত। পাকিস্তানের সঙ্গে ইচ্ছাকৃত একটা খারাপ সম্পর্ক করে রাখা ছিল। তাদের সঙ্গে আমাদের ৫৩ বছরের অমীমাংসিত কয়েকটি বিষয়ের ওপর দাঁড়িয়ে থেকে তো লাভ নেই। আমরা চেষ্টা করব পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে৷ যোগ করেন উপদেষ্টা।

বাংলাদেশ রফতানিতে পিছিয়ে পড়েনি জানিয়েছে তিনি বলেন, ‘ড. ইউনুস একাধিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিতে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে ভালো একটি ইন্টারেকশন করেছেন।’

UASID প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ প্রতিষ্ঠানটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন (ট্রাম্পের উপদেষ্টার বরাত দিয়ে)। বিকল্প খুঁজে বের করতে হবে। যদিও ইউএস সংস্থাটির কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাদের কাজ চলমান আছে। ’

দুবাই ইস্যুতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বেশি। এসব কারণে তারা ভিসা প্রসেসিং জটিল করেছে। আমরা চেষ্টা করব এটা আবারও খোলা যায় কিনা! দুবাইয়ের অপরাধীদের রাষ্ট্রীয় ব্যয়ে দেশে ফিরিয়ে আনতে হয়েছে। দোষ আমাদের তাদের নয়। আমরা ভুল তথ্য আর মিথ্যা কাগজ দেই, এসব কারণে ভিসার বিষয়গুলো জটিল হয়েছে। আর লিবিয়ায় নিহতদের একটা বড় অংশ বাংলাদেশের। আমাদের অ্যাপ্রোচ কাজ করছে না। দালালদের দৌরাত্ম্যকে প্রতিহত করতে হবে দেশে থেকেই।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ