কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে সৃষ্টি হওয়া প্রবল অশান্তি এবং হিংসার আবহে গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন হাসিনা।
বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলে আমেরিকার কোনও ভূমিকা নেই বলে দাবি করল জো বাইডেনের সরকার। আমেরিকার বিদেশ দফতরের সহকারি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, ‘‘শেখ হাসিনার পতনের নেপথ্যে আমেরিকার ভূমিকা রয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে। তা হাস্যকর।’’
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে সৃষ্টি হওয়া প্রবল অশান্তি এবং হিংসার আবহে গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন হাসিনা। এর পরে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বে একাংশের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, আমেরিকার কথা মতো বঙ্গোপসাগরে একাধিপত্য বাড়াতে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ তাদের হাতে তুলে না দেওয়ার মাসুল হিসাবেই হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। যদিও তা খারিজ করে পটেল বলেন, ‘‘শেখ হাসিনার ইস্তফায় আমেরিকার জড়িত থাকার যে কোনও ধরনের অভিযোগই সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা গত কয়েক সপ্তাহে অনেক ভুয়ো খবর দেখতে পেয়েছি।’’
চিনের কৌশলগত মোকাবিলায় আমেরিকা চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত ওই দ্বীপটি লিজ নিতে আগ্রহী ছিল বলেই ‘খবর’। আয়তনে খুব ছোট হলেও সেখানে আমেরিকা সামরিক ঘাঁটি তৈরি করতে চেয়েছিল বলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের একটি অংশের অভিযোগ। এ নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বিরোধী দলগুলির গোপন বোঝাপড়ারও অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশের সদ্যপ্রাক্তন শাসকদল।
গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আগে আমেরিকা বিরোধীদের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করতে ‘অবাধ এবং নিরপেক্ষ’ ভোটের কথা বলেছিল। এর পরেই বিরোধীদের হাসিনা-বিরোধী অবস্থান জোরদার হতে শুরু করেছ সে দেশে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ভোটেও অংশ নেয়নি। আনন্দবাজার পত্রিকা।