শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে দেশছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করার কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া নাহিদ ইসলাম।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় হাসিনার নির্দেশে পরিকল্পিতভাবে অনেক নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য শেখ হাসিনার শাস্তি পেতে হবে।
কয়েক সপ্তাহের কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং গণবিক্ষোভের মুখে গত সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এরপর ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আপাতত, তিনি (হাসিনা) ভারতে আছেন। অন্তর্বর্তী সরকার যখনই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেবে তখনই তিনি বাংলাদেশে ফিরে যাবেন।
বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনসূসহ বাকি উপদেষ্টারা শপথ নিয়েছেন। নাহিদ ইসলামও উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
রয়টার্সকে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা কেন দেশ ছেড়ে পালালেন, সে বিষয়ে আমার কৌতূহল।
নাহিদ বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, আমরা সেসব ঘটনার বিচার চাই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়, তখন আমাদের দাবির মধ্যে এটিও অন্তর্ভুক্ত ছিল। শেখ হাসিনা যদি ফিরে না আসেন, তবে তাকে ফিরিয়ে আনার জন্যও আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
নবগঠিত অন্তর্বর্তী সরকারে এই উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশে যেকোনো নির্বাচনের আগে এখন নির্বাচনী ও সাংবিধানিক সংস্কার প্রয়োজন, তাই পরবর্তী নির্বাচন কবে হবে তা নির্দিষ্ট করে এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।
আগামীতে এ দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চান কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, ‘আমি ভবিষ্যতে কী হব, সেটি দেশের মানুষের চাওয়ার ওপর নির্ভর করবে।’
ভারত এ দেশের জনগণকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে বলেও অভিযোগ করেন নাহিদ। তিনি বলেন, ভারত এ দেশের মানুষের সঙ্গে নয়, শুধু হাসিনার সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেছিল।
নাহিদ বলেন, আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই। তাদের পররাষ্ট্রনীতিতে নজর দেয়া প্রয়োজন। অন্যথায় এটি সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।