১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর শিশুপুত্র শেখ রাসেল হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে শিশু হত্যাকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় না দিতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নোবেলজয়ী শিশু অধিকার কর্মী কৈলাস সত্যার্থী।
ঢাকায় সফররত নোবেল জয়ী কৈলাস সত্যার্থী আজ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করে এই আহ্বান জানান। এসময় তিনি পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
নোবেলজয়ী সত্যার্থী ১৫ আগস্টের খুনিদের শাস্তিদানের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
এর আগে সকালে বিমানযোগে ঢাকায় পৌঁছান কৈলাশ সত্যার্থী। ৩১তম বিসিএস ক্যাডার এসোসিয়েশনের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছেন তিনি। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কৈলাস সত্যার্থীকে স্বাগত জানান এসোসিয়েশনের সদস্যরা।
আগামীকাল বিকেলে বাংলা একাডেমিতে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হবে। পরে অনুষ্ঠিত হবে বাউল গান। তার আগে বাংলা একাডেমি চত্বরে শিশুদের জন্য থাকবে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।
আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে এবারের বর্ষপূর্তির আলোচনার প্রতিপাদ্য ‘উইল ফর চিলড্রেন’। অনুষ্ঠান থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিশুপুত্র শেখ রাসেলের হত্যাকারীদের বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর ও শিশুদের ওপর নিপীড়ন বন্ধেরও দাবি জানানো হবে।
২০১৪ সালে শান্তিতে নোবেল জয় করেন কৈলাস সত্যার্থী। তিনি ১৯৫৪ সালের ১১ জানুয়ারি ভারতের মধ্যপ্রদেশে জন্ম নেন।
১৯৮০ এর দশকে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি ছেড়ে পুরোদমে শিশু অধিকারের আন্দোলনে সম্পৃক্ত হন কৈলাস। গড়ে তোলেন ‘বাচপান বাঁচাও’ আন্দোলন, যে সংগঠনটি সারা ভারতে এ পর্যন্ত ৮০ হাজারেরও বেশি শিশুকে শ্রমের দাসত্ব থেকে মুক্ত করেছে। এসব শিশুর পুনর্বাসন আর শিক্ষাও নিশ্চিত করেছে ‘বাচপান বাঁচাও’।
দুই দশক ধরে শিশুদের কল্যাণের জন্য নিয়োজিত কৈলাস নোবেল পুরস্কারও উৎসর্গ করেছেন শিশুদের জন্য।