পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষ্যে শুক্রবার দিবাগত রাতে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগি, জিকির, নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া মাহফিলে মগ্ন ছিলেন।
রাজধানীর বিভিন্ন কবরস্থানে স্বজনদের কবর জিয়ারতে মানুষের ঢল নামে, বিশেষ করে আজিমপুর কবরস্থানে গভীর রাত পর্যন্ত উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শবে বরাতকে কেন্দ্র করে আজিমপুর কবরস্থানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত মানুষ স্বজনদের কবর জিয়ারত করছেন। রাত সাড়ে বারোটার দিকে কবরস্থানের তিনটি গেট দিয়ে মানুষের ঢল নামতে থাকে।
এসময় দেখা গেছে, কবরের পাশে দাঁড়িয়ে কেউ কোরআন তেলাওয়াত করছেন, কেউ দোয়া ও মাগফেরাত কামনায় মুনাজাত করছেন। অনেককে আবার কবরের পাশে বসে অশ্রুসিক্ত হতেও দেখা গেছে।
আজিমপুর কবরস্থানের মোহরার মো. নুরুল হুদা জানান, শবে বরাতে কবর জিয়ারত বাধ্যতামূলক না হলেও এটি ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে। মানুষ আপনজনদের কবর জিয়ারত করে, মাগফেরাত কামনা করে এবং পরকাল স্মরণ করে। দুপুর থেকে শুরু হওয়া ভিড় রাত বাড়ার সঙ্গে বাড়তে থাকে, বিশেষত রাত ১১টা থেকে ফজর পর্যন্ত। হাজারো মানুষ কোরআন তেলাওয়াত ও মুনাজাতে অংশ নেন। শুধু ঢাকার নয়, দূরদূরান্ত থেকেও অনেকে আসেন, আত্মীয়দের কবর জিয়ারত করতে বা সকল মৃতের জন্য দোয়া করতে। শবে বরাতের রাতটি তাই আত্মিক ও ধর্মীয় মিলনমেলায় পরিণত হয়।
কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা মো. মনির হোসেন বলেন, আমার বাবা মাত্র ২৫ দিন আগে মারা গেছেন। আজ তার জন্য দোয়া করতে এসেছি, পাশাপাশি হাজারো মৃত আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছি।
শবেবরাত উপলক্ষ্যে আজিমপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন কবরস্থানে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়, যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।