প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, সরকার পরিবর্তন ও রাজনৈতিক আন্দোলন করার অধিকার আছে। কিন্তু আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাসী করা হলো। এটা রাজনীতি নয়। এটা রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ড। মানুষ মেরে, হত্যা করে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে সরকার পরিবর্তন করা যায় না। কারফিউ জারিকে সমর্থন করে
তিনি বলেন, জনমনে উদ্বিগ্নতা কমানো ও শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য দরকার ছিল সেনাবাহিনী।
এ সময় ইকবাল সোবহান চৌধুরী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলছি, আপনার আশপাশে যদি কোনো কুচক্রী থাকে, তাদের বের করে দিন। তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
বিএনপি-জামায়াত-শিবির কর্তৃক সাংবাদিকসহ মানুষ হত্যা ও দেশব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন ইকবাল সোবহান চৌধুরী।
সভায় আরও বক্তৃতা করেন বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সিনিয়র সহসভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সহসভাপতি ইব্রাহিম খলিল খোকন, বাংলাদেশ সচিবালয় রিপোটার্স ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।
সমাবেশে ইকবাল সোবহান চৌধুরী মানুষের জানমাল রক্ষায় সারাদেশের সেনাবাহিনী মোতায়েনের সময়োপোযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
আবুল কালাম আজাদ বিএনপি-জামায়াত ও শিবিরের চালানো ধ্বংসযজ্ঞকালে নিহতদের প্রতি শোক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীনতাকে যারা মেনে নিতে পারেনি, তারাই এই নারকীয় হামলা পরিচালনা করেছে।
মনজুরুল আহসান বুলবুল কোটা আন্দোলন চলাকালে হত্যাকান্ড, সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতন এবং সারাদেশে ভাংচুরের বিষয়কে অন্তর্ভূক্ত করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
ওমর ফারুক বলেন, কোটা আন্দোলন চলাকালে বিএনপি-জামায়াতের চালানো ধ্বংসযজ্ঞ পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। আন্দোলনকারীদের নিজেদের নিজেরা রাজাকার হিসেবে উল্লেখ করায় আমরা স্তম্ভিত হয়েছি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পর জেনারেল জিয়া রাজাকারদের জেল থেকে মুক্তি দেওয়ায়ই তাদের পক্ষে এ ধরনের স্পর্ধা দেখানো সম্ভব হয়েছে।
সভায় বক্তারা বলেন- কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে বিএনপি-জামায়াত-শিবির দেশব্যাপী নাশকতা চালিয়েছে। তারা বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দিয়েছে। মানুষ হত্যা করেছে। সাংবাদিকদের খুঁজে খুঁজে আক্রমণ করেছে। শতাধিক সাংবাদিক আহত হয়েছে। চারজন সাংবাদিক নিহত হয়েছে। এসব হামলা ও হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।