ছেলে পুণ্যের জন্মের পর থেকে অশান্তি। শেষে পথ আলাদা হয় রাজ-পরীমণির। তবে বিচ্ছেদের যন্ত্রণা কি পুষে রেখেছেন অভিনেত্রী?
শরিফুল রাজ ও পরীমণির ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছে প্রায় বছরখানেক হতে চলল। বিয়ের বছর পার হতে না হতেই জটিলতা দেখা দেয় তাঁদের সম্পর্কে। ছেলে পুণ্যের জন্মের পর থেকে বাড়তে থাকে দূরত্ব। শেষ পর্যন্ত ছেলে ও স্ত্রীর থেকে আলাদা থাকা শুরু করেন অভিনেতা। রাজের নামে পরকীয়ার অভিযোগ আনেন পরীমণি। বিস্তর কাদা ছোড়াছুড়ি চলে। শেষমেশ শোনা যায় বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে দুই তারকার। যদিও রাজের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তের ভিডিয়ো দেখলে চোখে জল আসে অভিনেত্রীর! যেমনটা সম্প্রতি হয়েছে। বাংলাদেশের একটি চ্যাট শোয়ে গিয়ে চোখের কোণ চিকচিক করে ওঠে নায়িকার। তবে কি বিবাহবিচ্ছেদের কষ্ট চেপে রেখেছেন অভিনেত্রী!
ভাল রেটিং সত্ত্বেও কেন বন্ধ ‘জল থই থই ভালবাসা’, প্রশ্ন তুললেন ‘ক্ষুব্ধ’ অপরাজিতা আঢ্য
ছেলে-মেয়েকে নিয়ে এখনও তাঁর জীবন আবর্তিত। রাজের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর আর কোনও সম্পর্ক নয়, বরং একলা চলার শপথ নিয়েছেন পরীমণি।
তাই পরবর্তীতে আর বিয়ে করবেন কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, ‘‘মেয়েদের বিয়ের পর আর সিঙ্গল কি, বিবাহবিচ্ছেদ হয় বিয়ের পর। সেটাই আমার হয়েছে। আর কোনও দিন বিয়ের কথাও ভাবব না।’’
সোনাক্ষীর বিয়ের ৩ দিন আগে হুঁশিয়ারি দিলেন শত্রুঘ্ন! বললেন, ‘খামোশ!’ কেন এই হুঙ্কার?
যদিও পরীমণি বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে ভালবাসাকে মায়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাই বাংলাদেশের ওই চ্যাট শোয়ে যখনও অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অভিনেত্রী আসেন সেই সময় সঙ্গে ছিলেন রাজ। তবে বছর খানেকের মধ্যেই বদলে গিয়েছে চিত্রটা। ছাড়াছাড়ি হয়েছে তাঁদের। তবে পুরনো ভিডিয়ো দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি নায়িকা।
তিনি বলেন, ‘‘অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আমার যথাযথ যত্ন নিয়েছে রাজ। সেই সময়ের মানুষটা যেন ফেরেস্তার মতো। আমার জীবনের সুখ স্মৃতিগুলির মধ্যে অন্যতম।’’ যদিও শেষে পরীমণি বলেন, ‘‘বর্তমান সময়ের মানুষটার সঙ্গে সেই মানুষটার কোনও মিল নেই।’’