রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ ঘিরে বিজয়নগর-কাকরাইল-রমনা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। এ পরিস্থিতিতে রাজধানীর নিরাপত্তা জোরদারে রাত থেকে ১১ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
দুপুরে সংঘর্ষের সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে পুলিশের ওপর। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে বিভিন্ন অলিগলি ও রাস্তায় ক্রমাগত রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে দেখা যায় পুলিশকে। এতে নয়াপল্টন-বিজয়নগর-কাকরাইল এলাকা পুরো ফাঁকা হয়ে যায়।
এমন পরিস্থিতিতে রাজধানীর নিরাপত্তা জোরদারে রাত থেকে ১১ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পল্টন, মতিঝিল ও রমনা এলাকায় টহল দিচ্ছে বিজিবি। এ ছাড়া কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে ও সচিবালয়ের সামনেও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।
এছাড়াও প্রস্তুত রাখা হয়েছে আরও ১০ প্লাটুন। কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ঘিরে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর ওই এলাকায় বিজিবি সদস্যরা টহল দেওয়া শুরু করেন। বেশ কয়েকটি গাড়ি নিয়ে বিজিবি সদস্যদের সেখানে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। এর আগে ওই এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম গণমাধ্যামকে জানান, কাকরাইলে সংঘর্ষের পর সেখানে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের সঙ্গে ছয় প্লাটুন বিজিবি সদস্য আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এ ছাড়া ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্যকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে তারা রাস্তায় নামবে। রাতেও বিজিবি মোতায়েন থাকবে।